মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে আরও ৮৮ সশস্ত্র মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য।
রোববার (৫ মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কাঞ্চন জেটি দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে আরাকান আর্মির তীব্র আক্রমণের মুখে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কাঞ্চন জেটি দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বিজিপির ওই সদস্যরা নাফ নদীতে তিনটি নৌকায় অবস্থানরত বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তারা জান্তা সৈন্যদের নিরস্ত্র করে খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ করে এবং পরে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করে।
তবে এ বিষয়ে অনেক চেষ্টা করেও বিজিবির কোনো অফিসিয়াল বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে গতকাল শনিবার কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের দুটি পয়েন্ট দিয়ে ৪০ বিজিপি সদস্য আসার একদিন পর এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে।
এদের মধ্যে টেকনাফের সাবরাংরাং ইউনিয়নের আচার বুনিয়া সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন এবং একই উপজেলার নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২২ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আরও ৪ বিজিপি সদস্য নাজির পাড়া দিয়ে আশ্রয় নেয় বলে স্থানীয় সূত্র ও জনপ্রতিনিধি জানায়।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র করে এবং পরে তাদের বাসে করে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত করা হয়।
Leave a Reply