রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৯:০৬ অপরাহ্ন

সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ বিএমইউকে দান

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
  • ৯০ Time View

বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ ও ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগে দান করা হয়েছে। সন‌্জীদা খাতুনের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ গণমাধ‌্যম‌কে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পার্থ তানভীর বলেন, বেলা ১১টার দিকে মরদেহ হস্তান্তরপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে নিজের শরীর দানের সিদ্ধান্তটি সন্‌জীদা খাতুন ১৯৯৮ সালে নিয়েছিলেন।

মরদেহ দানের সময় সন‌্জীদা খাতুনের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ, ছোট মেয়ে রুচিরা তাবাসসুম নভেদ, বড় মেয়ের স্বামী সাংবাদিক নিয়াজ মোরশেদ কাদেরী এবং ছোট মেয়ের দেবর অধ্যাপক মানজারে শামীম উপস্থিত ছিলেন।

পার্থ তানভীর নভেদ আরও জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগের পক্ষ থেকে সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ গ্রহণ করা হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে নিজের শরীর দানের সিদ্ধান্তটি তার মা ১৯৯৮ সালে নিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তখন একটি চুক্তিও করেছিলেন সন্‌জীদা খাতুন। সেই চুক্তি তিনি খামে ভরে রেখে দিয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পর গতকাল সেই খাম বের করা হয়েছে উল্লেখ করে পার্থ তানভীর নভেদ বলেন, ‘১৯৯৮ সালে চুক্তির সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মানজারে শামীম।

গত মঙ্গলবার বেলা ৩টা ১০ মিনিটে মারা যান সন্‌জীদা খাতুন। সে দিন রাতে সন‌্জীদা খাতুনের মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়। বুধবার দুপুরে তার কফিন নেওয়া হয় ছায়ানট ভবনে। সেখানে শেষবিদায় জানান ছায়ানটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে তাকে শেষবিদায় জানান শিল্পী, শিক্ষক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ আবারও হিমঘরে রাখা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category