মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি বহাল আছে চলে গেলেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা গোবর্ধন আসরানি প্রাণবন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন সম্পন্ন — সভাপতি মনিরুল হক জর্জ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর ইসলাম সিডনিতে পালিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক দিবস কাজী ফারুক বাবুলের কথা,সুরে তানিয়া শারমিন তানিশার ” ময়ূরী “ ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্র ফোরামের নবীন বরণ অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন আগুনে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ শাহজালালের কার্গো ভিলেজের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ঢাকাগামী ফ্লাইট যাচ্ছে চট্টগ্রাম-কলকাতায়

পবিত্র শবে মেরাজ আজ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৯০ Time View

আজ সোমবার দিবাগত রাতে পালিত হবে পবিত্র শবেমেরাজ। শবেমেরাজ অর্থ ঊর্ধ্ব গমনের রাত। নবুয়তের ১১তম বছর এই রাতে মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় রাসুলকে তাঁর একান্ত সান্নিধ্যে ডেকে নেন। আর এর মাধ্যমে তিনি মুহাম্মদ (সা.)-কে সমগ্র সৃষ্টির ওপর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব দান করেন।

কেননা সৃষ্টিজগতে কেবল তিনিই মহান আল্লাহর একান্ত সাক্ষাতের সৌভাগ্য লাভ করেছেন। মেরাজের রাতে মহানবী (সা.) আল্লাহর কাছ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ তাঁর উম্মতের জন্য প্রভূত কল্যাণ বয়ে আনেন। মহাজাগতিক এই সফর নবী (সা.)-এর নবুয়তের সপক্ষে অলৌকিক প্রমাণ এবং মুসলিম জাতির জন্য মহাবিশ্ব জয়ের অনুপ্রেরণাও বটে।

সুফি সাধক আলেমরা শবেমেরাজকে প্রেম ও ভালোবাসার অন্যতম নিদর্শন বলে থাকেন।

কেননা নবুয়ত লাভের ১১তম বছর মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য দুঃখ ও শোকের বছর ছিল। এ বছর তিনি তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা (রা.) ও শ্রদ্ধেয় চাচা আবু তালেবকে হারান। অন্যদিকে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে তায়েফ গেলে সেখান থেকে আহত ও আশাহত হয়ে ফেরেন। এমন ব্যথাতুর সময়ে আল্লাহ তাঁর প্রিয় বন্ধুকে সান্নিধ্য দানের মাধ্যমে প্রশান্তির চাদরে আবৃত করেন।

শবেমেরাজ মুসলিম উম্মাহর আত্মমর্যাদার অন্যতম উপলক্ষ। তাই মুসলমানরা প্রতিবছর ২৬ রজব দিবাগত রাতে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের মাধ্যমে মেরাজের ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণ করেন। মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও শবেমেরাজে ধর্মীয় আলোচনা, কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির, দোয়া, দরুদ ও ইবাদতে মগ্ন থাকেন। যদিও শরিয়তে এই রাতের জন্য নির্ধারিত কোনো আমল নেই, তবু মুসলমানরা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও মহানবী (সা.)-এর ভালোবাসায় অনুপ্রাণিত হয়ে ইবাদত-বন্দেগি ও জিকিরের মজলিসে শামিল হন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category