সরকার, ব্যবসায়ীদের সব আশ্বাস উড়িয়ে দিয়ে রোজা শুরুর আগেই নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সামনে এ ধারা আরও বাড়বে বলে এরই মধ্যে আশঙ্কা ছড়িয়েছে ভোক্তাদের মধ্যে। প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও রোজা ঘিরে বাজারে কিছু ব্যবসায়ীর অতিমুনাফার লাভের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকারের তরফ থেকে কঠোর হওয়ার কথা বললেও রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ আরও কয়েকটি বাজারে পণ্যের দামে উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন নেই।
শুক্রবার ( ১৬ ফেব্রুয়ারি) বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের আলুর দাম কিছুটা কমেছে। লাল আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও সাদা আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর রসুন ২০০ টাকা কেজি, আদা ২০০ টাকা, তবে পেঁয়াজের দাম এখন বাড়তি। নতুন, পুরাতন ও দেশি জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০-১২০ টাকায় আর ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা প্রতি কেজি দরে।
শীত চলে গেলেও বাজারে শীতের সবজির এখনও বেশ আমদানি রয়েছে। বাজারে লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, ফুলকপি ৪০, গাজর ৩০ টাকা কেজি প্রতি, টমেটো ৫০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি ৪০, শিম প্রকারভেদে ৪০-৮০ টাকায় আর কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী জানান, ‘গত সপ্তাহের চাইতে আজকে তরকারির দাম বেশি মনে হচ্ছে। দিন দিন সবকিছু মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। মাত্র ২১০ টাকায় শিম বেগুন ফুলকপি আর কাঁচামরিচ কিনলাম এ তারকারি দিয়ে একদিনও চলবে না। কিন্তু কিছু করার নাই।’
এদিকে মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগির দাম আবারও বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, লেয়ার লাল ৩০০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। আর গরুর মাংস ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি প্রতি।
মাছের বাজারের চিত্রও আগের মতোই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে রুই বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৩৪০-৩৬০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৮০-১৯০ টাকা কেজি, দেশি পোয়া মাছ ৩০০ টাকা কেজি, চান্দা কেজি ২০০ টাকা দরে, বড় চিংড়ি ৭০০, ছোট চিংড়ি ৬০০ টাকা, চাপিলা ৩০০ টাকা, কাঁচকি ৪০০ টাকা, বাইলা ৫৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহের চাইতে এই সপ্তাহে মাছের দাম অনেক বেশি। তিনি বলেন, মাছের চাহিদার তুলনায় আমদানি অনেক কম। তবে রমজানের প্রথম দিকে দাম একটু বেশি থাকার আশঙ্কা তার। তাই ক্রেতাদের প্রতি তিনি অনুরোধ করেন বেশি চাপ না নিয়ে যতোটা প্রয়োজন যতোটুকু কিনুন।
Leave a Reply