নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শাস্তির পেছনে ‘সরকারের কোনো হাত নেই’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আদালত তাকে শাস্তি দিয়েছে। এখানে আমার দোষটা কোথায়? মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার মধ্যে কখনো ছিল না, এখনো নেই। আমি জানি এসব পুরস্কার যারা পান, তার পেছনে একটি রাজনীতি থাকে। আমি এগুলো চাই না। অথচ পার্বত্য অঞ্চলে আমি শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি। শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটি বিরল ঘটনা। শেখ হাসিনা কারো সঙ্গে জেলাসি (হিংসা) করে না।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ড. ইউনূস ওয়ান ইলেভেনের সময় একটি রাজনৈতিক দল গঠনেরও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি ব্যর্থ হলেন কেন? তখন আমার নামে খুনের মামলাও হয়েছিল। হিলারি ক্লিনটনকে সঙ্গে নিয়ে দেশে দারিদ্র বিমোচনে প্রকল্প নিলেন, অথচ যারা ঋণ নিয়েছিল তাদের অনেকে সুদের চাপে আত্মহত্যাও করেছে। আমার প্রশ্ন হলো, ইউনূস দারিদ্র বিমোচন করতে পারলেন না কেন?
তিনি বলেন, দেশ থেকে দারিদ্র বিমোচন করছি আমি। অথচ সবাই ক্রেডিট দেয় ইউনূসকে। সে তো একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার পক্ষে সাংবাদিকরা লিখে কীভাবে? এটাও আমার প্রশ্ন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আমাদের দুই দেশের এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ জুন দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে আমাকে বর্ণাঢ্য অভ্যর্থনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া ভারতের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের সম্ভাবনা ও পন্থা নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় আমার সফরসঙ্গী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলও আলোচনায় অংশ নেয়।
তিনি বলেন, ২২-এ জুন রাষ্ট্রপতি ভবনে আমাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা জানান। সেখানে তার উপস্থিতিতে আমাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর, আমি রাজঘাটে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি।
শেখ হাসিনা বলেন, দুপুরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমার একাধিক বৈঠক হয়। ঐতিহাসিক হায়দরাবাদ হাউজে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আমি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিই। অন্যদিকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন নরেন্দ্র মোদি।
Leave a Reply