সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশকে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪৯ Time View

বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বাড়ানো, বাণিজ্যিক অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক ৮৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার সমান। এই অর্থ দুটি পৃথক প্রকল্পে ব্যয় করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সংস্থাটির অন্তর্বর্তীকালীন বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হতে যাওয়া দুটি বড় প্রকল্পের একটি হলো ‘বে-টার্মিনাল মেরিন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’, যাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গভীর সমুদ্র বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো হবে, যার ফলে বড় জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের সুবিধা বাড়বে এবং পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ কমবে।

সংস্থাটি আশা করছে, বন্দরের আধুনিকায়নের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে গতি আসবে এবং প্রতিদিন গড়ে এক মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে। একই সঙ্গে নারীদের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

অন্য প্রকল্পটির নাম ‘স্ট্রেন্থেনিং সোশ্যাল প্রোটেকশন ফর ইমপ্রুভড রেজিলিয়েন্স, ইনক্লুশন অ্যান্ড টার্গেটিং (SSPIRIT)’, যার আওতায় ২০ কোটি ডলার ব্যয়ে সামাজিক সুরক্ষা খাতকে উন্নত করা হবে। এতে দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্যোক্তা গড়ে তোলা, ক্ষুদ্রঋণ সহায়তা এবং পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইআরডি সচিব শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে দীর্ঘদিনের দৃঢ় অংশীদারিত্ব রয়েছে, যা দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা অর্জনে সহায়ক।’

বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি গেইল মার্টিন বলেন, ‘প্রতি বছর যে ২০ লাখ তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে, তাদের জন্য মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান তৈরি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অর্থায়ন কর্মসংস্থান ও রপ্তানি সক্ষমতা বাড়াতে একটি বড় ভূমিকা রাখবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category