শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন

অস্ট্রেলিয়ান লেখককে মৃত্যুদণ্ড দিল চীন

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২৭৩ Time View

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ান-চীনা লেখক ইয়াং হেনজুনকে গ্রেপ্তারের পাঁচ বছর পর একটি চীনা আদালত ‘স্থগিত মৃত্যুদণ্ড’ দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তাদের মতে, দুই বছর পর সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত হতে পারে। খবর বিবিসি।

স্থগিত মৃত্যুদণ্ড হলো, অবিলম্বে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করাকে জরুরি বলে মনে করা না হলে- মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পাশাপাশি দুই বছর তাকে পর্যবেক্ষণের পর আচরণের উপর ভিত্তি করে সাজা কমানোর সিদ্ধান্ত দেওয়া।

হেনজুন তার বিরুদ্ধে আনা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় সরকার ইয়াংয়ের মুক্তির জন্য আবেদন করেছিল। এই সিদ্ধান্তে আমরা শঙ্কিত। বেইজিংকে ‘কড়া ভাষায়’ এর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

পেনি ওং আরো বলেন, “আমরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে আন্তর্জাতিক নিয়ম এবং চীনের আইনী বাধ্যবাধকতা অনুসারে ডক্টর ইয়াংয়ের জন্য ন্যায়বিচারের মৌলিক মান, পদ্ধতিগত ন্যায্যতা এবং মানবিক আচরণের জন্য আহ্বান জানিয়েছি। সকল অস্ট্রেলিয়ান হেনজুনকে তার পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হতে দেখতে চায়। আমরা আমাদের আইনী ব্যবস্থা চালিয়ে যেতে পিছপা হব না।”

ইয়াং হেনজুন এর আগে চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রনালয়ের জন্য কাজ করতেন। তখন তাকে ‘গণতন্ত্রের দালাল’ আখ্যা দেওয়া হয়। তবে তিনি তার লেখায় সরকারের সরাসরি সমালোচনা এড়িয়ে যেতেন।

৫৭ বছর বয়সী হেনজুনকে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে গুয়াংজু বিমানবন্দরে আটক করে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ২০২১ সালের পর থেকে তার মামলার কার্যক্রম বেশিরভাগ সময় লুকিয়েই চালানো হয়।

অস্ট্রেলিয়ান কর্মকর্তারা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের সতর্ক করেছে যেন তারা এই মামলায় হস্তক্ষেপ না করে এবং চীনের ‘বিচারিক সার্বভৌমত্ব’কে সম্মান করে।

আটক অবস্থায়  ইয়ং হেনজুনকে ৩০০ বারের বেশি জিজ্ঞাসাবাদ এবং ছয় মাস তীব্র নির্যাতন করা হয়েছে বলে দাবি করছে তার পরিবার।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category