গত ১৪ এপ্রিল রবিবার সিডনির গ্লেন্ডফীল্ড কমিউনিটি হলে শঙ্খনাদ পরিবার প্রায় শতাধিক লোক নিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।এতে শঙ্খনাদ পরিবারের সকল সদস্যসহ সিডনির বাংলা কমিউনিটির গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।
বৈশাখের এই বিশেষ আয়োজনকে সামনে রেখে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় হলটি। পুরো হল জুড়ে ছিল রঙের বিভিন্ন কারুকাজ ও নকশা।সেখানে প্রতিটি দেয়াল সাজানো হয়েছে বিভিন্ন সুন্দর মুখোশের মাধ্যমে। এগুলির মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হল উৎসবী পোস্টার, ফুলের বৃষ্টি, পাখি এবং সাজানো লতাপাতার প্রেমপূর্ণ নকশা। তাদের উজ্জ্বল রঙের দৃশ্যটি সম্প্রদায়ের মনের উৎসাহ বৃদ্ধি করে।
দুপুর বারোটা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে চলে রাত আটটা পর্যন্ত।
এবারে শঙ্খনাদ পরিবার বাংলা নববর্ষের শুভ কাজের সূচনা করছে Lifeline Machartur and western Sydney কে সহায়তা করার জন্য ,আর সেই সহায়তা কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শঙ্খণাদ পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয় তাদের সাথে একাত্ততা প্রকাশ করার জন্য।মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য কে লক্ষ্য করে তারা এই উদ্যোগটি হাতে নেয় এবং উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকেই পরিধেয় কাপড়সহ যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানায়।
মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রাক্কালে সংগঠনটির সভাপতি গনেশ ভৌমিক শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।আরো বক্তব্য রাখেন লাইফ লাইন ম্যাকার্থারএন্ড ওয়েস্টার্ন সিডনির সিইও ভেরোনিকা ম্যাকডোনাল্ড তাঁর সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।কমিউনিটির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন গামা কাদির, মোঃশফিকুল আলম, বাসব রায় ও পূরবী পারমিতা বোস।সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন অনুপম দে।
এরপর দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়। আগর অতিথিদের সবার জন্য ছিল বিভিন্ন রকমের বাঙালি খাবার।নানা রকম ভর্তা, সবজি, মাছ-মাংস, পিঠা-পুলি-মিস্টি ও ফলমূল।হলের এক কোনায় ছিল শঙ্খনাদের তরুন তরুনীদের দ্বারা পরিচালিত মজার ফুচকা স্টল।
সন্ধ্যায় শুরু হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।সংগঠনের নিজস্ব শিল্পীরা এতে বৈশাখী গান দলীয় সংগীত, গনজাগরনের গান কবিতা এবং নাচ পরিবেশন করেন।
শঙ্খনাদ পরিচালনা কমিটি সকলের সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য হার্দিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। আগামী বছরে বাংলা নববর্ষ উদযাপন এবং “মঙ্গল শোভাযাত্রা” এর প্রতি বৃহত্তর এবং রঙিন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Leave a Reply