সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন

পাটের নতুন বাজার খোঁজার তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪
  • ৭৩ Time View

পাটের নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন ও নতুন বাজার খোঁজার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, পাট শিল্পকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যা মোটেও শুভ ছিল না। পাটকলগুলোকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। পাটের জন্য রহস্য উদ্ভাবনের মাধ্যমে পাট ও পাট শিল্পের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজার খুঁজতে হবে।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২৪’ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সোনালী আঁশ সোনালী দিনের হাতছানি দিচ্ছে, যথাযথ কাজে লাগাতে হবে। পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে পাট ব্যবহারে সুযোগ বেড়েছে। পাট থেকে উৎপাদিত রপ্তানিপণ্যে প্রণোদনা দেবে সরকার।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের দেশের সম্পদ খুব সীমিত, পাট আমাদের দেশের একটি পণ্য। পাটকে জাতির পিতা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছিলেন। পাট আমাদের এমন একটি পণ্য যার চাহিদা কখনও শেষ হবে না। পাটকে বলা হয় সোনালী আঁশ, এই সোনালী আঁশ আমাদের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখতে পারে। বর্তমান যুগে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে পরিবেশবান্ধব পণ্যের, পাট তেমন একটি পণ্য।

তিনি আরও বলেন, এ দেশীয় পণ্যটা যদি আমরা উপযুক্তভাবে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে পাটই আমাদের জন্য অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে। দেশীয় বিভিন্ন কাজে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পাটের জন্ম রহস্য উদ্ভাবন করেছি। তার ফলে পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বাড়ানো আমাদের বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আবিষ্কারের ফলে পাটের গুরুত্ব বেড়ে গেছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা আজকে পদক্ষেপ নিচ্ছি। পাটের আঁশ এবং চামড়া মিলে পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। সেগুলো বিদেশে রপ্তানি করতে পারছি।

পাট পরিবেশবান্ধব হওয়ায় সুযোগ বেড়ে গেছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, পাট শিল্প আরও উন্নত কীভাবে করা যায় সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। একদিকে গবেষণা অব্যাহত রাখা, অন্যদিকে পাট থেকে আরও উন্নত মানের পণ্য উৎপাদন করা, সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিয়েছি। পাটের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পাটজাত পণ্যের উৎপাদন যত বেশি বাড়াতে পারবো, দেশীয় কাজে যেমন লাগবে, রপ্তানি ক্ষেত্রেও বিরাট দুয়ার খুলে দেবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে পাটের নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করা, কোন দেশে কী ধরনের পণ্যের চাহিদা আছে সেটা দেখা, সেই ধরনের পণ্য উৎপাদন করার দিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। আমাদের রপ্তানি পণ্য বাড়াতে গেলে পাট এবং পাটের বহুমুখী পণ্য সেই ভূমিকা রাখতে পারে। সেই সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category