আজ শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা-২০২৫। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বছর বইমেলার প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ’।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে বইমেলার উদ্বোধন করবেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম।

অমর একুশে বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. সরকার আমিন বৃহস্পতিবার একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

গত বছরের তুলনায় এবার মেলার আকার বেড়েছে, বেড়েছে স্টলের সংখ্যাও। গত বছর যেখানে বইমেলায় ৬৪২টি প্রতিষ্ঠানের ইউনিট ছিল ৯৪৬টি সেখানে এবার মোট ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে এক হাজার ৮৪ ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি প্রতিষ্ঠানকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে বাড়ছে না প্যাভিলিয়ন সংখ্যা। গত বছরের ন্যায় এবারও থাকছে ৩৭টি প্যাভিলিয়ন।

এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছের গাছতলায় করা হয়েছে লিটল ম্যাগাজিন চত্বর। সেখানে ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া শিশুচত্বরে ৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১২০ ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রতিপাদ্য ও নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে শুরু হতে যাওয়া এইবারের বইমেলায় রাখা হয়েছে ‘জুলাই চত্বর’। থাকছে ৫২-র ভাষা আন্দোলন ও ভাষা শহীদদের নামও।

উল্লেখ্য, গত বছর তিন হাজার ৭৫১টি বই প্রকাশিত হয়। যেখানে বিক্রি হয় ৬০ কোটি টাকার বই। দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিলো ৬০ লাখের কাছাকাছি। এবার ইতোমধ্যে বইমেলার জন্য মোড়ক উন্মোচন হয়েছে ৬০০টি বইয়ের। আশা প্রকাশ করা হচ্ছে, এবার বই প্রকাশনা ও দর্শনার্থীদের আগমণ সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে গত বছরকেও।