ঘরের ভিতর এক টুকরো সবুজের ছোঁয়া পেতে এবং ঘরের সৌন্দর্যকে প্রানবন্ত করার সবচেয়ে ভালো উপায় হল ঘরের কোণে দারুন কোনো গাছ রাখা। ঘরের ভেতর গাছ রাখা মানেই ঘরের আবহাওয়া ভালো থাকা।গবেষণায় জানা যায় যে ঘরের ভিতরের গাছ ক্ষতিকারক পদার্থ যেমন কার্বন মনোক্সাইড, ফর্মালডিহাইড, অ্যামোনিয়া, কার্বন ডাই অক্সাইডসহ আরও অনেক কিছু দূর করে। এগুলো মূলত মাথাব্যথা, ক্লান্তি, অসুস্থতা ও অ্যালার্জির কারণ হিসেবে পরিচিত। ঘরে গাছ থাকা মানেই বাতাসের মান বাড়বে এবং বাতাস আরও পরিষ্কার হবে।তবে গাছ দিয়ে ঘর সাজাতে আগে জানতে হবে গাছটি আপনার ঘরের ভেতর রাখার উপযোগী কি না। এছাড়াও গাছের যত্নের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
এই উপস্থাপনাটিতে মূলত ঘরের ভেতরের গাছ (indoor plant)দিয়ে ঘর সাজানোর খুঁটিনাটি তুলে ধরব।
ঘরে রাখার উপযোগী গাছ সনাক্ত করুন প্রথমে। মানিপ্ল্যান্ট,এরিকা পাম,স্পাইডার প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্ট,লাকি ব্যম্বো,মন্সটেরা,এ্যালেভেরা এ ধরণের গাছগুলোই মূলত ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে জনপ্রিয়। গাছের জন্য বিভিন্ন নকশাদার আকৃতির মাটির টব ব্যবহার করলে দেখতে সুন্দর লাগবে।ফাঁকা স্থানে বড় কোনো পাম গাছ অথবা ছোট ছোট ক্যকটাস ঘরময় ছড়িয়ে রাখুন যা আপনার ঘরের সৌন্দর্য বহুগুনে বাড়িয়ে দেবে।
ঘরের যেকোন স্থানেই গাছ রাখা যায় তবে মনে রাখতে হবে গাছ রাখার জায়গায় যেনো বাতাস চলাচল করতে পারে।ঘরের ভেতরে থাকা গাছ ভাল রাখার জন্য সপ্তাহে অন্তত এক দিন রোদে দিতে হবে।কোনোভাবেই টবে পানি জমতে দেয়া যাবে না তাই সপ্তাহে একদিন পানি দেয়া যেতে পারে অথবা শুধুমাত্র মাটি শুকিয়ে গেলেই পানি দিতে হবে।
বছরে একবার মাটি পরিবর্তন করে দিলে গাছ ভালো থাকবে অনেকদিন। পাতায় ধুলো জমলে স্প্রে করে বা ভেজা তুলি দিয়ে পাতাগুলো মুছে দিতে হবে। মরা ডাল-পাতা কেটে দিতে হবে।মাঝে মাঝে স্থান পরিবর্তন করে দিলে গাছের বৃদ্ধি বাড়বে। পাতায় ছত্রাকের আক্রমণ হলে গাছটিতে যত দ্রুত সম্ভব ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।
আজকাল প্রায় সকল নার্সারীতেই যেকোনো প্রকারের ইনডোর প্ল্যান্ট পাওয়া যায়।গাছের প্রজাতি ভেদে কম বেশী দাম নির্ধারিত হয়।
তাই আর দেরী না করে আপনার গৃহকোণটি সাজিয়ে ফেলুন এক টুকরো সবুজ দিয়ে।গৃহসজ্জার একঘেয়েমি কিংবা মানসিক অবসাদ দূর করতে ইনডোর প্ল্যান্টের কোনো বিকল্প নেই।
Leave a Reply