আগামী বছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত আসন সংখ্যা ৯ শতাংশ বাড়িয়ে ২ লাখ ৯৫ হাজার করার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ঘোষণায় বলা হয়েছে, দেশটিতে পড়তে যেতে ইচ্ছুক বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণের ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আবেদনকারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার সরকারের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে, গত বছর অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ও আবাসনের আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়ার সরকার। দেশটিতে চলতি বছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ২ লাখ ৭০ আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়।
অস্ট্রেলিয়ার সরকার বলেছে, বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়ার পর তা কমিয়ে আনার নীতি নেওয়া হয়। সরকারের এই নীতিতে ইতিবাচক ফল পাওয়ায় ২০২৬ সালে অতিরিক্ত ২৫ হাজার শিক্ষার্থীকে ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশটির শিক্ষামন্ত্রী জেসন ক্লেয়ার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক শিক্ষাখাত যাতে শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় স্বার্থের জন্য সহায়ক হয় সেই লক্ষ্যেই সরকার নতুন এই পদক্ষেপ নিয়েছে।’’
কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সময়ে রেকর্ডসংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী দেশটিতে ফিরে আসায় ২০২৩ অর্থবছরে প্রায় ৬ লাখ শিক্ষার্থীকে ভিসা দেয় অস্ট্রেলিয়া। দেশটিতে পড়তে যাওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে চীনা ও ভারতীয়দের সংখ্যাই সর্বোচ্চ।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের লাগাম টানার অংশ হিসেবে গত বছর ভিসা ফি দ্বিগুণেরও বেশি করে অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি, যারা নিয়মের ফাঁকফোকর দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করে আসছেন, তাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
সূত্র: রয়টার্স।