অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (এবিবিসি) এর উদ্যোগে সিডনির অভিজাত পার্ক হায়াত হোটেলে অনুষ্ঠিত হলো “আন্তঃ জাতীয়তার যুগে প্রবাসীদের সম্পৃক্তকরণ” শীর্ষক একটি তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা ও মতবিনিময় সভা। এই অভিজাত আয়োজনটি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ, উন্নয়ন ও রাষ্ট্রীয় সম্পৃক্ততার এক নতুন মাত্রা যোগ করল।
প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক যোগাযোগের যুগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তা, এবং প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং সদ্য নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মান্যবর এফ এম বোরহান উদ্দিন।
অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের বর্তমান কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার একটি সফল, আত্মনির্ভরশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গঠনে বদ্ধপরিকর, যেখানে প্রবাসীদের অভিজ্ঞতা ও মেধা হবে অন্যতম চালিকাশক্তি।”
হাইকমিশনার এফ এম বোরহান উদ্দিন বলেন, “প্রবাসীরা কেবল রেমিটেন্স প্রেরণকারী নয়, বরং তারা দেশের সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের দূত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আন্তঃজাতীয়তার এই যুগে তাদের ভূমিকা আরও প্রসারিত হওয়া উচিত।”
ম্যাকুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নিয়োগ বিষয়ক পরিচালক তানভীর শহীদ বলেন, “প্রবাসীদের অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক শিক্ষাব্যবস্থা, অভিবাসন নীতি এবং দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ককে আরও গভীর করার সুযোগ রয়েছে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন পেশায় সফল প্রবাসী বাংলাদেশীরা, তরুণ উদ্যোক্তারা এবং সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যেন প্রবাসী বাংলাদেশীদের পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা নীতিনির্ধারণের প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হয়।
সমাপনী বক্তব্যে এবিবিসি চেয়ারপারসন ফয়েজ দেওয়ান বলেন, “আমরা গত দুই দশক ধরে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতেও দেশের প্রয়োজনে প্রবাসীদের সম্পৃক্ত করে আরও গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।”
অনুষ্ঠানের শেষে নৈশভোজের আয়োজন করা হয় এবং বিশেষ অতিথিদের এবিবিসি-এর পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এটি ছিল শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং প্রবাসী সম্পৃক্ততার এক নতুন ইতিহাসের সূচনা।
Leave a Reply