শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন

মোহাম্মদপুরে ২ যুবককে কুপিয়ে হত্যা

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৫ Time View

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় সাদেক খান বাজারের সামনে নাসির (৩০) ও মুন্না (২২) নামের দুই যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার নাসির ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মুন্নাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মৃত্যু হয়।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা শাওন আহমেদ বলেন, আমি আর নাসির দু’জনে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলাম, আমি সাদেক খান আড়তে যাব এবং সে তিন রাস্তার মোড়ে যাবে। আমাকে বলল, ভাই আমাকে একটু তিন রাস্তার মোড়ে নামায় দেন। পরে সাদেকখান আড়তের সামনে থেকে তিন রাস্তার মোড়ে যাওয়ার সময় দেখি ধারালো অস্ত্র নিয়ে একটি গ্রুপ দৌড়াদৌড়ি করছে। পরে পেছন থেকে এলোপাথাড়ি কোপানো শুরু করে নাসিরকে। পরে নাসির মোটরসাইকেল থেকে নেমে দৌড় দিলে তাকে ধরে মাটিতে শুয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে এবং বলে তাকে জবাই করে দে। পরে তাকে জবাই করতে গেলে আমি একজনকে ধরে ফেলি এবং দু’জনেই পড়ে যাই। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে উপস্থিত হলে তারা পালিয়ে যায়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায় নাসির।

তিনি আরও বলেন, আমরা যাওয়ার সময় ওইখানে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল। কি কারণে দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছিল সে বিষয়টি বলতে পারি না। সে রাজমিস্ত্রির কাজও করতো।

ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মাসুদ আলম বলেন, মোহাম্মদপুর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এক যুবককে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) মারা যায় সে। আমরা বিষয়টি মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে জানিয়েছি। মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদ পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান। তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবীর সাদেক খান আড়তের পাশে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মুন্না (২২) ও নাসির (৩০) নামে দু’জন নিহতের খবর পেয়েছি। এদের মধ্যে মুন্না সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মারা যায় এবং নাসির ঢাকা মেডিকেলে মারা যায়। মুন্নার নামে মারামারি ও কোপাকুপিসহ সাত থেকে আটটি মামলা রয়েছে এবং নাসিরের বিষয়ে এখনো তথ্য পায়নি। নাসিরের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড দুটি সংঘটিত হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category