শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম জন্মদিন আজ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪
  • ৯৭ Time View

১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর ঢাকাকে রাজধানী করে পূর্ব বাংলা ও আসাম প্রদেশ সৃষ্টি করা হয়। বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ব বাংলায় শিক্ষার ব্যাপক উন্নতি ঘটে। কিন্তু ১৯১১ সালের ১ নভেম্বর দিল্লির দরবারে ঘোষণার মাধ্যমে ১২ ডিসেম্বর বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়। অবিভক্ত বাংলায় ১৯টি ডিগ্রি কলেজ ছিল। তার মধ্যে পূর্ব বাংলায় ছিল ৯টি। তবে সেই সংখ্যা পর্যাপ্ত ছিল বলে মনে করেননি তখনকার পূর্ব বাংলার মানুষ।

বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ববঙ্গে শিক্ষার যে জোয়ার এসেছিল, তাতে অচিরেই ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চাহিদা ছিল। বঙ্গভঙ্গ রদের ফলে সে সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। ১৯১২ সালের ২১ জানুয়ারি ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকা সফরে আসেন। এই সফরকালে ঢাকার কিছু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বঙ্গভঙ্গ রদের কারণে তাদের ক্ষতির কথা জানান। এই ক্ষতি পূরণের লক্ষ্যে ঘোষণা দেন যে তিনি সরকারের কাছে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করবেন।

নাথান কমিশনের সুপারিশ আলোকে ১৯২১ সালের ১ জুলাই কার্যক্রম শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এর ফলে পূর্ববাংলায় সেই কাঙ্ক্ষিত মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবী শ্রেণির সৃষ্টি হয়। যারা পরবর্তীকালে রাষ্ট্রগঠন ও স্বাধীনতা সংগ্রামসহ দেশের ক্রান্তিলগ্নে জাতিকে পথ দেখিয়েছেন। হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ ১ জুলাই (সোমবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১০৩ বছর পূর্ণ করে ১০৪তম বছরে পা রেখেছে।

প্রতিবারের মতো এবারও বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সকাল ১০টায় ছাত্র-শিক্ষককেন্দ্রের সামনে পায়রা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ও হোস্টেল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শোভাযাত্রা নিয়ে  স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে সমবেত হবেন। সেখান থেকে পৌনে ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে পায়রা চত্বরে আসবেন। সকাল ১০টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন  পতাকা উত্তোলন, পায়রা, বেলুন ও ফেস্টুন উড়ানো, কেক কাটা এবং সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিম সং ও উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশিত হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category