আজ ১৭ মার্চ রবিবার সিডনীস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের অফিস ভবনে সর্ব কালের সর্বশ্রষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপন করা হয়।
এই উপলক্ষে কনস্যুলেট জেনারেল সহ কনস্যূলেটের সকল কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী, শাহাদাত বরণকারী সকল মুক্তিযোদ্ধার বিদেহী আত্মার মাগফেরোত কামনা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মহান আল্লাহ’র রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ কমিউনিটির আমন্ত্রিত অতিথি সহ কনস্যুলেট জেনারেল-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা ও পবিত্র ধর্মগ্রস্থ’সমূহ থেকে বাণী পাঠ করা হয় । গুরুত্বপূর্ন এই দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির জনকের একচ্ছত্র নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে কনসাল জেনারেল মোঃ শাখাওয়াত হোসেন স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। জাতির জনকের বর্ণাঢ্য জীবনের উপর আলোকপাত করতে গিয়ে কনসাল জেনারেল বলেন বঙ্গবন্ধুর অবদান কেবলমাত্র স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলোনা বরং তাঁর পুরো জীবনেই তিনি দেশকে ও দেশের মানুষকে ভালোবেসে অপরিসীম কষ্ট ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গিয়েছেন, যা পুরো জাতির জন্য আজীবন অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি আরো বলেন সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সফল নেতৃত্বেও মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন। এ উন্নয়নের পেছনেও রয়েছে জাতির জনকের দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন ও দেশ পরিচালনায় তাঁর সঠিক দিক নির্দেশনা ও প্রণীত রূপরেখা।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন পরবর্তী প্রজন্মকে ব্যক্তি জীবনে ধারণ করার উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিশু কিশোর শিল্পীবৃন্দ বাংলা ছড়া গান, কবিতা এবং বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে পাঠ করা হয়।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে কনসাল জেনারেল উপস্থিত সকল শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
Leave a Reply