পার্থের তরুণী মা ক্লোই মওডে বর্তমানে ভিয়েতনামের একটি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। একটি স্বল্পমাত্রার কসমেটিক সার্জারি ভয়াবহ জটিলতায় রূপ নেওয়ায় তাকে আইসিইউতে কৃত্রিম কোমায় রাখা হয়েছে এবং লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
৩২ বছর বয়সী ক্লোই মওডে ভিয়েতনামে গিয়েছিলেন মূলত কসমেটিক সার্জারি করানোর উদ্দেশ্যে, এবং তার সাথে ছিলেন স্বামী ও তিন সন্তান। পরিকল্পনা ছিল নাক ও চোখের পাতা সংশোধনের জন্য একটি ছোট সার্জারি করানো।

কিন্তু সেই সাধারণ অস্ত্রোপচারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে খারাপ হয়ে যায়। ক্লোইয়ের শরীরের একাধিক অঙ্গ হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। রক্তচাপ দ্রুত নেমে যায় এবং হঠাৎ হৃদস্পন্দন থেমে যাওয়ায় তাকে দ্রুত অন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। পথিমধ্যে প্যারামেডিকরা তাকে CPR দিতে বাধ্য হন।
চিকিৎসকদের ধারণা, তার শরীরে একটি তীব্র সার্জিক্যাল শক বা জটিল সংক্রমণ তৈরি হয়েছিল, যা কয়েক মিনিটের মধ্যে তার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো অচল করে দেয়।
বর্তমানে তিনি ভিয়েতনামের একটি বিশেষায়িত আইসিইউতে গভীর সংকটাপন্ন অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে আছেন। ডাক্তারদের ভাষ্য, আগামী কয়েক দিন তার অবস্থা স্থিতিশীল হবে কি না, সে বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
এদিকে ক্লোইয়ের স্বামী ও তিন সন্তান মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। বিদেশে চিকিৎসার ব্যয়, আইসিইউ খরচ, থাকার ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরিয়ে আনার ব্যয় মেটাতে পরিবারটি কঠিন আর্থিক ও মানসিক সংকটে পড়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে তৈরি করা ফান্ডরেইজারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে,
“একটি ছোট সার্জারি এমন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে কখনো ভাবিনি। আমাদের বাচ্চারা মাকে ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে পারছে না।”
অস্ট্রেলিয়ান কনস্যুলেট ঘটনাটি নজরে নিয়েছে এবং পরিবারকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।