বীর মুক্তিযোদ্ধা গামা আব্দুল কাদির! এক অনন্য অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। স্বাধীনতাযুদ্ধোত্তর দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যোগদান করেছিলেন রেড ক্রিসেন্টে। কর্মসূত্রে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের সে সময়ের একজন রেজিস্ট্রার্ড নার্সকে। স্ত্রীর কাজের সুবাদে ৪৬ বছর পূর্বে তাঁর সঙ্গী হয়ে এসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর স্ত্রী রেজিস্টার্ড নার্স (RN) হিসেবে দীর্ঘদিন সেবাপ্রদান শেষে অবসরে আছেন। জনাব গামা কাদির তাঁর জীবন ব্যাপৃত রাখলেন সামাজিক কর্মকাণ্ডের আবর্তে। বহুজাতিক অস্ট্রেলিয়ায় সকল কমিউনিটিতে একজন প্রিয় মানুষ। বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ। তাঁর হাত ছুঁয়ে অস্ট্রেলিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদ, আওয়ামীলীগ, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন, অসংখ্য মসজিদের প্রতিষ্ঠা হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক এই মানুষটির একজন উদার নৈতিকতায় বিশ্বাসী। এমনকি অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা তাঁর অকুন্ঠ সহযোগিতার কথা সর্বজনবিদিত।

জনাব গামা কাদির সুদীর্ঘ প্রবাস জীবনে বাংলাদেশ এ্যাসেসিয়েশনের ৫ বার সভাপতি এবং ৩ বার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি এখনও এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামীলীগেরও প্রধান উপদেষ্টা।

জনাব গামা কাদির ৮০ বছরোর্ধ ব্যক্তি একটি দিনের জন্য তাজ্ঞর সামাজিক কার্যক্রমে বিরতি দেননি। ৪৬ বছরের প্রবাস জীবনে ৪০ বছর কাটিয়েছেন ইস্টার্ন সাবার্বে। সামাজিক কার্যক্রমে নিবেদিত প্রাণ এই ব্যক্তিকে ২০২৫ এ এসে ইস্টার্ন সাবার্বের ফেডারেল এমপি ম্যাট থিসেলয়েট মেম্বার ফর কিংসফোর্ড যিনি আবার এ্যাসিস্ট্যান্ট অভিবাসন, পররাষ্ট্র এবং বানিজ্য মন্ত্রী কমিউনিটি সার্ভিসে বিশেষ এ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করলেন।

জনাব গামা কাদির বাংলাদেশ কমিউনিটির গর্ব। আপনি বেঁচে থাকুন। মহান আল্লাহ আপনাকে শতায়ু করুন। আপনার সান্নিধ্য আমাদেরকে সমৃদ্ধ করবে।