উত্তর-পূর্ব জাপানে সোমবার রাতে শক্তিশালী ৭.৬ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পরই তিন মিটার পর্যন্ত সুনামির সম্ভাবনায় কর্তৃপক্ষ প্রায় ৯০ হাজার মানুষকে জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। বেশ কয়েকটি শহরে ভবনের অংশ ভেঙে পড়া ও ধসে কিছু মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষের তৎপরতার কারণে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে জানানো হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা সতর্ক অবস্থায় থাকার পর উচ্চ-ঝুঁকির সুনামি সতর্কতা নামিয়ে এনে সুনামি অ্যাডভাইজরি বহাল রাখা হয়।
জাপান আবহাওয়া সংস্থা (JMA) জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ছিল উপকূলের কাছাকাছি সমুদ্র এলাকায়। উপকূলবর্তী বেশ কিছু শহরে সাইরেন বাজিয়ে মানুষকে দ্রুত উঁচু স্থানে চলে যেতে বলা হয়।
• কয়েকটি ভবনের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে
• রাস্তায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে
• আহতদের বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পড়া সামগ্রী বা কাঁচ ভাঙার কারণে আঘাত পেয়েছেন
বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটলেও বড় ধরনের অবকাঠামোগত ক্ষতির প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
জাপান বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর একটি।
• দেশটি চারটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত।
• এরপর ২০১১ সালের তোহোকু ভূমিকম্প ও সুনামি, যা ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ নিয়েছিল— সেই স্মৃতি এখনো তাজা।
• সেজন্য দেশটির জরুরি সতর্কতা ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত; সুনামির সম্ভাবনা দেখা দিলেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সতর্কতা পৌঁছে যায় জনগণের কাছে।
এই ভূমিকম্পটির মাত্রা ও অবস্থান সেই ভয়াবহতার স্মৃতি আবারও জাগিয়ে তোলে, যার কারণে ব্যাপক সতর্কতা জারি করা হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা জাপানের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে।
• জাতিসংঘ ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পর্যবেক্ষণ ও সহায়তা প্রদানের প্রস্তুতি জানিয়েছে।
• অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, জাপানের প্রয়োজন হলে তারা জরুরি উদ্ধার দল পাঠাতে প্রস্তুত।
• যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে জরুরি প্রয়োজনে উদ্ধার সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো নিজেদের উপকূলেও নজরদারি জোরদার করেছে।