অস্ট্রেলিয়ার ক্যাম্পবেলটাউন বাংলা স্কুলে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
গত ৩০শে নভেম্বর রবিবার মিন্টোর দি গ্রাঞ্জ পাবলিক স্কুল প্রাঙ্গণে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বর্ষ সমাপনী সনদ বিতরণ করা হয়।
এদিন বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বাংলা স্কুলের কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাফায়েল রোজারিও সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান ও তার স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে স্কুলের নিজস্ব শিল্পীদের অংশগ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। একক সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও স্কুলের কার্যকরী কমিটির সদস্য লুৎফা খালেদ, স্কুলের গানের শিক্ষক স্বপ্না চক্রবর্তী ও তাঁর মেয়ে দুলারী চক্রবর্তী এবং স্কুল সভাপতি ফায়সাল খালিদ শুভ। একক আবৃত্তি করেন শ্রেণিশিক্ষক বিশাখা পাল ও নুসরাত শারমিন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মনিরা হক, যিনি নিউ সাউথ ওয়েলস অরগান অ্যান্ড টিস্যু ডোনেশন সার্ভিসের গবেষক এবং WeCare Bangladesh Research Project- এর সদস্য। তিনি অঙ্গ ও টিস্যু দান নিবন্ধনের গুরুত্ব এবং অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এর প্রভাব সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।
সবশেষে সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে এই আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন স্কুল সভাপতি ফায়সাল খালিদ শুভ।
বাংলা স্কুলের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য নাজমুল আহসান খান এবং কার্যকরী পরিষদের সভাপতি ফায়সাল খালিদ শুভর সার্বিক তত্বাবধানে, সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ রুমানা খান মোনা ও স্কুলের কার্যকরী কমিটির সদস্য লুৎফা খালেদ এর ব্যবস্থাপনায় এবং সংগীত শিক্ষক স্বপ্না চক্রবর্তী ও বিশিষ্ট তবলাবাদক বিজয় সাহার পরিচালনায় অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব সঞ্চালনা করেন শিক্ষক অনিতা মন্ডল। সনদ বিতরণ পর্বটি উপস্থাপনা করেন শিক্ষক অনিতা বিশ্বাস মিরা। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ সমাপনী সনদ বিতরণ করেন শ্রেণী শিক্ষক শায়লা ইয়াসমিন নুসরাত, সায়মা হক, বিশাখা পাল ও নুসরাত শারমিন মৌরি। নিজস্ব শিল্পীদের অংশগ্রহনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নুসরাত শারমিন মৌরি। অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও কারিগরি নিয়ন্ত্রণে ছিলেন মসিউল আযম খান স্বপন, রিজওয়ান আহমেদ ও ফায়সাল খালিদ শুভ। স্টেজ সজ্জা, আপ্যায়ন ও সার্বিক সহায়তায় ছিলেন ইয়াকুব, শাহিন, স্বপন, রাফায়েল, আজিজ, জিসান, রিজভী, সম্রাট ও মঈন। বিজয় দিবসের কেক ডেকোরেশনে ছিল শ্রেণী শিক্ষক সায়েমা, তাঁর সন্তানেরা আদিয়ান ও আমীনা।