ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৩.৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে এ কম্পন অনুভূত হয়। ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) এ তথ্য জানিয়েছে।
ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, ঢাকা থেকে ৩১ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল। যার মাত্রা ছিল ৩.৬।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৬। এটা স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশাল।
এ নিয়ে গতকাল মধ্যরাত ৩টার পর থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রায় ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশে তিনবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনগুলোর মাত্রা ছিল মাঝারি বা হালকা। এর মধ্যে প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হয় গতকাল মধ্যরাতে। রাত ৩টা ২৯ মিনিটে টেকনাফ থেকে ১১৮ কিলোমিটার দূরে ৪ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ ভূমিকম্পে কেঁপেছে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ শহর। এরপর রাত ৩টা ৩০ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে সিলেটে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৪। এটি মৃদু ভূমিকম্প হওয়ায় অনেকেই টের পাননি। সর্বশেষ আজ বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে ৩.৬ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়।
বাংলাদেশে এখন যে আতঙ্ক বা গুজব ছড়িয়েছে, ২০২৩ সালে এমনটি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানে। ওই বছর তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে আঘাত হেনেছিল শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প। ওই ভূমিকম্পে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের ভূমিকম্পের পর গুজব ছড়ানো হয় ১৫ দিনের মধ্যে ভারত-পাকিস্তানে একইরকম ভূমিকম্প আঘাত হানবে।
তখন বিশেষজ্ঞরা জানান, কবে, কোথায় আর কোন সময় ভূমিকম্প আঘাত হানবে সেটি পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। পৃথিবীর ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞানী ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিতে পারেননি।