ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে অন্তত ১৪০ জনের প্রাণহানি ঘটানোর পর এবার ভিয়েতনামে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় কালমেগি। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে প্রবল বেগে এটি দেশটির উপকূলে আছড়ে পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ঝড়টি সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি করেছে গিয়া লাই প্রদেশে। প্রবল বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাতে দেশটির কর্তৃপক্ষ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করতে এবং ছয়টি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ঘণ্টায় প্রায় ১৪৯ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া এই ঝড়ে উদ্ধার তৎপরতায় দুই লাখ ৬০ হাজার সেনা সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এর আগে টানা কয়েকদিনের অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ভিয়েতনাম ইতোমধ্যেই বিপর্যস্ত ছিল। এরই মধ্যে এ বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড় হিসেবে পরিচিত কালমেগি আঘাত হানে। দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমানে ঝড়টি দাক লাক ও গিয়া লাই প্রদেশের ওপর দিয়ে অতিক্রম করছে।
ভিয়েতনামের জাতীয় আবহাওয়া পূর্বাভাস দফতর সতর্ক করে বলেছে, টাইফুনের প্রভাবে সাতটি শহরের শত শত মানুষ আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রবল ঝড়ে ইতোমধ্যে বহু এলাকার বাড়িঘরের ছাদ উড়ে গেছে, হোটেলের জানালা ভেঙে পড়েছে এবং গাছ উপড়ে সড়কে পড়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। টাইফুন আঘাত হানার মাত্র ৩০ মিনিট পরেই দাক লাক প্রদেশের বাসিন্দারা সহায়তা চেয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, কালমেগির প্রভাবে দক্ষিণ চীন সাগরে প্রায় ২৬ ফুট উচ্চতার ঢেউ তৈরি হতে পারে।
এদিকে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বুধবার থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নেয় ভিয়েতনামের সরকার। এএফপি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তারা ঘূর্ণিঝড়ের আগমনের আগে সাধারণ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সতর্কবার্তা ও স্থানান্তরের আহ্বান জানান।