ইন্দোনেশিয়ায় একটি ইসলামিক স্কুল ভবন ধসে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেশটির পূর্ব জাভা প্রদেশে একটি ইসলামিক আবাসিক স্কুলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পূর্ব জাভার উদ্ধারকারীরা স্কুলের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিদোয়ারজো শহরের আল খোজিনি ইসলামি বোর্ডিং শিক্ষার্থীরা জোহরের নামাজ পড়ার সময় ভবনটি ধসে পড়ে। পুলিশ, সেনা ও উদ্ধারকর্মীরা রাতভর মাটি ও কংক্রিট সরিয়ে উদ্ধারকাজ চালান।
শিক্ষার্থীদের পরিবার হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে অপেক্ষা করছেন সন্তানদের খোঁজে। আহত এক শিক্ষার্থীকে টেনে বের করার সময় ধুলোয় ঢাকা দেহ দেখে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বেঁচে যাওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, মেয়েরা ভবনের অন্য অংশে নামাজ পড়ছিলেন বলে তারা বেরিয়ে যেতে পেরেছে। শিক্ষার্থীদের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ভবন ধসের পর ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া ৩৮ জনকে উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান চলছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা আরও জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে এগারো জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অন্তত ৯১ জন বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়া সংস্থাটি জানায়, আহত ৭৭ জনকে চিকিৎসার জন্য এলাকার বেশ কয়েকটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্র জুলেস আব্রাহাম আবাস্ত জানান, ভবনটিতে অনুমতি ছাড়া সম্প্রসারণ কাজ চলছিল। শিক্ষার্থীরা নামাজ পড়ার সময় হঠাৎ পুরো ভবনটি ভেঙে পড়ে।