ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য চেন্নাইয়ের রাজধানী তামিলনাড়ুতে দেশটির রাজনীতিক ও অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেটরি কাজাগমের (টিভিকে) এক জনসভায় পদদলনে অন্তত ৩১ জন নিহত ও আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। শনিবার তামিলনাড়ুর কারুর জেলায় থালাপতির জনসভায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দ্য হিন্দু বলেছে, তামিলনাড়ুর কারুর জেলায় অভিনেতা ও রাজনীতিক বিজয়ের জনসভায় পদদলিত হয়ে অন্তত ৩১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে বলে স্থানীয় হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কারুর জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ডেভিডসন দেবাসিরভাথাম বলেছেন, জনসভাস্থলে আহত কয়েক ডজন মানুষকে ইতোমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং আরও কয়েক ডজনকে আনার প্রক্রিয়া চলছে। যে কারণে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেটরি কাজাগমের সমর্থক ছিলেন। তারা অন্তত ছয় ঘণ্টা ধরে সমাবেশস্থলে বিজয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সমাবেশে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে পৌঁছান বিজয়।
জনসমাগম ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। এ সময় বিজয় থালাপতির দলের কর্মীরা দুর্ঘটনার আশঙ্কা জানিয়ে শীর্ষ নেতাদের সতর্ক করে দেন। পরে থালাপতি বিজয় আকস্মিকভাবে তার বক্তৃতা শেষ করেন। পরে তার দলের কর্মীরা প্রচারণা বাস থেকে ভিড় লক্ষ্য করে বোতলজাত পানি নিক্ষেপ করেন। অসুস্থ হয়ে পড়া মানুষের সহায়তা পানির বোতল নিক্ষেপ করা হয় বলে দলটির কর্মীরা জানিয়েছেন।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে অ্যাম্বুলেন্সকে ব্যাপক বেগ পেতে হয়েছে। প্রচণ্ড ভিড়ের মাঝে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সমাবেশস্থলে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। চেন্নাইয়ের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ডিএমকে বিজয়ের দলের নেতাকর্মীদের অবহেলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে। একই সঙ্গে থালাপতি বিজয়কে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে দলটি।
এর আগে, গত ২০ সেপ্টেম্বর দলের কর্মী-সমর্থকদের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ও আচরণবিধি জারি করে টিভিকে। এতে বলা হয়েছিল, বিজয়ের সমর্থকরা যেন তার গাড়ি বা গাড়িবহর অনুসরণ এবং প্রকাশ্যে তাকে বরণের আয়োজন না করেন। পাশাপাশি গর্ভবতী নারী, শিশু, প্রবীণ ব্যক্তি, শারীরিকভাবে অক্ষম এবং অসুস্থদের সমাবেশে না এসে অনলাইনে অনুষ্ঠান দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।