মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি বহাল আছে চলে গেলেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা গোবর্ধন আসরানি প্রাণবন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন সম্পন্ন — সভাপতি মনিরুল হক জর্জ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর ইসলাম সিডনিতে পালিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক দিবস কাজী ফারুক বাবুলের কথা,সুরে তানিয়া শারমিন তানিশার ” ময়ূরী “ ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্র ফোরামের নবীন বরণ অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন আগুনে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ শাহজালালের কার্গো ভিলেজের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ঢাকাগামী ফ্লাইট যাচ্ছে চট্টগ্রাম-কলকাতায়

মিয়ানমারে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর জান্তার হামলায় ১০০ জন নিহত

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৩৯ Time View

গত ১৮ আগস্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দিন থেকে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা দ্বিগুণ বেড়েছে।  ওইদিন থেকে সবশেষ হামলায় ১০০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতির প্রতিবেদন অনুসারে, হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধার এবং নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্য বিমান ও স্থল উভয় ধরণের আক্রমণই তখন থেকে তীব্রতর হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটির তথ্য অনুসারে, নির্বাচনের দিন ঘোষণার এক মাসের মধ্যে জান্তা ২০টি টাউনশিপে ২৭টি বিমান হামলা চালায়। বেশিরভাগই ছিল প্রতিরোধ-নিয়ন্ত্রিত বা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টাউনশিপ। আগের মাসে ১০টি টাউনশিপে ১৯টি বিমান হামলা হয়েছে।

এসব হামলায় ১০০ জন নিহতের পাশাপাশি ১২২ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৭ জন শিশু, ১২ জন নারী এবং তিন জন সন্ন্যাসী ছিলেন। আগের মাস জুলাইয়ে ১১৮ জন নিহত এবং ৯২ জন আহত হয়েছে।

হামলার শিকার একজন বাসিন্দা বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বিমান হামলায় স্থানীয়রা প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পেয়েছেন। আমরা দিনের পর দিন নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বাস করছি। কিন্তু আমরা স্বৈরশাসনের পতনের আশা হারাইনি।

মিয়ানমারের বিশ্লেষক বলেছেন, জান্তার বিমান হামলার উদ্দেশ্য বেসামরিক নাগরিকদের হুমকি দেওয়া এবং প্রতিরোধ বাহিনীর শাসনব্যবস্থা ব্যাহত করা। তারা জনগণকে ভীত করতে এবং অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চায়।

সাতটি বৌদ্ধ মঠ এবং একটি খ্রিস্টান গির্জাও হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। বিশ্লেষক বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এই বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে মনোযোগ দেওয়া উচি। এগুলো যুদ্ধাপরাধ।

কিন্তু চীন, রাশিয়া, ভারত ও কিছু প্রতিবেশী দেশ জান্তার পরিকল্পিত নির্বাচনকে সমর্থন করে চলেছে।

নিয়ান লিন থিট অ্যানালিটিকার গবেষক মো হেট নে বলেন, যেহেতু জান্তা নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে অবস্থান বাড়ানোর জন্য এই অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণ অর্জনের চেষ্টা করতে হবে জান্তাকে। বিমান হামলা এবং স্থল আক্রমণ উভয়ই বৃদ্ধি পাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category