কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েল বিমান হামলা করে। এর কয়েকদিন পর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রধান মিত্র ইসরায়েল ও কাতারের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার সতর্কতামূলক মন্তব্য করেছেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘কাতার একটি অসাধারণ মিত্র। ইসরায়েল এবং অন্য সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। আমরা যখন কাউকে আক্রমণ করি, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।‘
গত মঙ্গলবার দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বিমান হামলায় পাঁচজন হামাস সদস্য ও একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। এই হামলার সময় সেখানে হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা গাজা যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা চালাচ্ছিলেন।
ট্রাম্প ওই হামলাকে ‘নজিরবিহীন’ উল্লেখ করে এর সমালোচনা করেন। হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের নেতারা কাতারের প্রতি সংহতি জানিয়ে দোহায় জড়ো হয়েছেন। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ আরব ও মুসলিম নেতা দোহায় অবস্থান করছেন।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল থানি দোহায় এক ভাষণে বলেন, ‘বিশ্বকে দ্বৈত মানসিকতা বন্ধ করতে হবে এবং ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।‘
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কাতারে ইসরায়েলি হামলা কেবল আঞ্চলিক নিরাপত্তাই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক কৌশলকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। কারণ কাতারেই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি অবস্থিত।
এ ঘটনার পর কাতার-ইসরায়েল সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে মোড় নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে বলেও আভাস মিলেছে।