শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন

নেপালে জেন-জি’দের বিক্ষোভে সহিংসতা, নিহত ১৪

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৪১ Time View

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ ও সরকারের দুর্নীতি বিরুদ্ধে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ভয়াবহ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) নেপালের দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিন সকালের দিকে দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ ভয়াবহ সহিংসতায় রূপ নেয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে রাজধানীতে অবস্থিত পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়েন।

বিক্ষোভের নেতৃত্বে রয়েছে শিক্ষার্থী ও তরুণ (জেন-জি) প্রজন্ম। বিক্ষোভ দমনে ব্যাপকভাবে জলকামান, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ব্যবহার করছে নেপালের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা লাঠি, গাছের ডাল পানির বোতল নিয়ে প্রতিরোধে নেমেছেন। বিক্ষোভে সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন তারা। বেশ কয়েক জন বিক্ষোভকারী জাতীয় পার্লামেন্ট ভবনেও ঢুকে পড়েছেন।

ন্যাশনাল ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসক ডা. দীপেন্দ্র পাণ্ডে জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনা সাতজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা আরও ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মাথা ও বুকে গুলির আঘাত রয়েছে। এছাড়াও ২০ জনের বেশি আহত ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে সেখানে।

এখন পর্যন্ত রাজধানী কাঠমান্ডুতেই সীমাবদ্ধ আছে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন দপ্তর থেকে ইতোমধ্যে কারফিউ জারি করে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সেই নোটিশে বলা হয়েছে আজ স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত জারি থাকবে কারফিউ। কিন্তু রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ অমান্য করে সড়কে নেমেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা।

নেপালের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন শীতল নিবাস, ভাইস প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন, রাজপরিবারের প্রধান প্রাসাদ সিংহ দরবার, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসবভন ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নেপালের দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্ট।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতিই নেপালে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব সহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। শুধুমাত্র টিকটক অ্যাপ চলছে। এভাবে সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করার প্রতিবাদেই গর্জে উঠেছে যুব প্রজন্ম।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category