শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন

সালমান খানের তিনটি জটিল মস্তিষ্কজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার স্বীকারোক্তি: “আমি এখনও ব্যথা নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি”

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫
  • ৯২ Time View

বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সফল অভিনেতাদের একজন সালমান খান সম্প্রতি প্রকাশ্যে এনেছেন এমন একটি তথ্য, যা শুনে রীতিমতো স্তব্ধ হয়ে গেছেন তাঁর অগণিত ভক্ত। তিনি জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে ত্রিজমিনাল নিউরালজিয়া, ব্রেইন অ্যানিউরিজম, এবং এভি মালফর্মেশন (AVM) নামক তিনটি জটিল ও জীবনঝুঁকিপূর্ণ মস্তিষ্কজনিত রোগে ভুগছেন।

সালমান খান এ কথা বলেন ২০২৫ সালের জুন মাসে নেটফ্লিক্স-এ প্রচারিত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান The Great Indian Kapil Show-এর একটি পর্বে। হাস্যরসের ছলে বলা হলেও এই তথ্যটি ছিল গভীরভাবে উদ্বেগজনক।

❝ আমি এখনও ব্যথা সহ্য করেই কাজ করে যাচ্ছি ❞

অনুষ্ঠানে সালমান বলেন,”আমার প্রতিদিন হাড় ভাঙছে,পাঁজরের হাড় ভাঙা। আমি ত্রিজমিনাল নিউরালজিয়াতে ভুগছি, তাও কাজ করছি। আমার ব্রেইনে অ্যানিউরিজম আছে, তবুও আমি শুটিং চালিয়ে যাচ্ছি। উপরন্তু আমার ব্রেইনে AV মালফর্মেশনও ধরা পড়েছে। তবু থেমে থাকিনি।”
তিনটি রোগই অত্যন্ত জটিল ও বেদনাদায়ক।এই তিনটি রোগের মধ্যে প্রতিটিই ভয়াবহভাবে কষ্টের এবং জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে।
Trigeminal Neuralgia:
এই রোগকে ‘সুইসাইড ডিজিজ’ নামেও ডাকা হয়, কারণ এটি মুখের নার্ভে এমন তীব্র ব্যথা তৈরি করে যা সহ্য করা প্রায় অসম্ভব। অনেকের জীবনের মানসিক ভারসাম্যও এতে ভেঙে পড়ে।
Brain Aneurysm:
মস্তিষ্কে রক্তনালির দেয়াল দুর্বল হয়ে গিয়ে বেলুনের মতো ফেঁপে ওঠে। এটি ফেটে গেলে মারাত্মক ব্রেইন হেমারেজ এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
AV Malformation (Arteriovenous Malformation):
এটি মস্তিষ্কের রক্তনালিগুলোর মধ্যে একটি অস্বাভাবিক সংযোগ, যা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহে সমস্যা সৃষ্টি করে এবং যেকোনো সময় রক্তক্ষরণ ঘটাতে পারে।
চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী, এই তিনটি রোগ একসঙ্গে হওয়া অত্যন্ত বিরল এবং বিপজ্জনক। একজন ব্যক্তি যদি ত্রিজমিনাল নিউরালজিয়ার পাশাপাশি ব্রেইন অ্যানিউরিজম ও AV মালফর্মেশনে আক্রান্ত হন, তাহলে সেটি তাঁর প্রতিদিনের জীবনযাপন এবং মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার ওপর চরম প্রভাব ফেলে।
তবুও থেমে নেই ‘ভাইজান’—
এই কঠিন সময়েও সালমান খান তাঁর শুটিং, স্টান্ট ও অভিনয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর পরবর্তী সিনেমা, বিজ্ঞাপন এবং সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন।
সালমান খানের এই স্বীকারোক্তি শুধু তারকা জীবনের পিছনের অজানা কষ্টকে সামনে নিয়ে আসে না, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও দেয়—মানসিক দৃঢ়তা, দায়বদ্ধতা এবং জীবনযুদ্ধে অটুট থাকার বার্তা। তিনি হয়তো পর্দায় একজন সুপারহিরো, কিন্তু বাস্তব জীবনে তিনি এক নির্ভীক যোদ্ধা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category