আমাদের কথা নিউজ ডেস্ক:
রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চলের আমুর অঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী প্লেন ভয়াবহভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৫০ জনের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ৫ জন শিশু। বিমানে থাকা কাউকেই জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে রাশিয়ার জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।
বিমানটি ছিল সোভিয়েত আমলের পুরনো আন্তনভ এন-২৪ মডেলের, যা পরিচালনা করছিল আঙ্গারা এয়ারলাইন্স। এটি ব্লাগোভেশচেনস্ক শহর থেকে উড্ডয়ন করে গন্তব্য ছিল টিণ্ডা শহর। যাত্রাপথে টিণ্ডা শহরের কাছাকাছি এসেই এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর উদ্ধারকারীরা দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে বিমানের পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বিমানে ৪৩ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু ছিলেন। মোট যাত্রীসংখ্যা ছিল ৪৯ থেকে ৫০ জনের মতো। সকলেই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস (TASS) জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় পাইলট ভুল করে পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। জরুরি বিভাগ এই ঘটনাকে ‘মারাত্মক মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিমানটির ব্ল্যাক বক্স উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিশুসহ এত মানুষের অকাল মৃত্যু রাশিয়া ও আন্তর্জাতিক বিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।