লম্বা টানা রাস্তা, শুনশান নিথর।
দারুন অপমানে মাথা নত ল্যাম্পপোস্ট
আমার চাইতেও দির্ঘ্য আমার ছায়া
তার চোখেও চশমা, হাতে ঘড়ি, পায়ে চপ্পল,
মুখে সস্তা মদের গন্ধ।
কানের ভেতর বেজেই যাচ্ছে বেগম আখতার
“ও কেনো বিদায় নিলো না এসে”,
কে জানে কেনো নিলো না তবে প্রশ্নের ভিতর বড্ডো আকুতি, গোরস্থানের ভেতর থেকে জ্বলজ্বলে চোখে তাকিয়ে আছে অভুক্ত সৃগাল
জলা থেকে জোলো গন্ধ।
এখন সে মাঝ রাত, এখন সে বিলম্বিত লয়,
পথের অনেকটাই বাকি বুঝলে হে ছায়া সঙ্গী
আমার সাথে সাথে তোমারো কি নেশা হলো!
তোমারও কি একলা জীবন
রাঁধতে গিয়ে আঙ্গুল পোড়ে,
সাদা শার্টের ময়লা কলার
বুকের কাছে খুঁচকে থাকে?
থাকে না, তোমার তবু আমি আছি,
নিকুঞ্জ পেছনে ফেলে গোরস্থান পাশ কাটিয়ে
নেশাতুর টলতে টলতে যায় এক নষ্ট মানব
সাথে তার আজন্মের সঙ্গী ঝাপসা ছায়া
আর কিছু নয় শুধু একলা থাকতে শিখে গেলেই হয়। পটল পোড়া, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, সর্ষের তেল, দিয়ে ডলে ডলে গরম ভাতের সাথে দু’মুঠো ভাত,
চোখ মুছে গিলে নিই যেমন গিলেছি দুঃখ বেদনা যতো, ওহে প্রিয় ছায়া আমাকে ছেড়েও তুমি একদিন চলে যাবে নিশ্চিৎ তবু,
আমি তোমার সঙ্গেই কথা বলেছি আমার একান্তের নির্জনতায়। মানুষ চলে গেলে অন্ধকারে যায়, সেখানে তো তুমিও থাকবে না।
তাই যতই মাতাল হই,
ছেড়ে চলে যাও,
একা থাকার অভ্যাস জরুরি খুব,
আলোহীনতায় আমি তোমার সকল প্রশ্নের উত্তর দেবো। আমি চলে গিয়ে আরও নিঃসঙ্গ হতে চাই।
শূন্য হতে চাই। হৃদয়ের বিন বক্সে জঞ্জাল সব প্রেমের স্মৃতি, জমা থাকুক, দেরাজে, কনক নদীর জ্বলে ভেসে গেলো সমস্ত দিন।
আর হয়না ঈশ্বর, এবার আমায় ছুটি দিন,
ছুটি দিন, ছেড়ে দিন আমায়।
ছায়ার ভেতরে কোনো প্রাণ নেই
প্রাণ আমি লুটিয়েছি সাত পাঁচ না ভেবেই।
এতো অনুনয় করলাম ঈশ্বর
আমার মুক্তি দিন।
Leave a Reply