অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস (NSW) রাজ্যে টানা ভারী বর্ষণে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ বন্যা। এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে এবং একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে রাজ্যের ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে পরিস্থিতিকে “প্রাকৃতিক দুর্যোগ” হিসেবে ঘোষণা করেছে।
বন্যার সবচেয়ে ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে মিড নর্থ কোস্ট অঞ্চলের তারি শহরে, যেখানে নদীর পানি ৬.৩ মিটার (২০.৬ ফুট) ছাড়িয়ে গেছে, যা এক শতাব্দীরও পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজ্যব্যাপী ২,০০০-এর বেশি জরুরি সেবাকর্মী কাজ করছেন। ইতোমধ্যে হেলিকপ্টারের সাহায্যে ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৮ জনকে প্লাবিত বাড়ি ও রাস্তা থেকে এবং ৪ জনকে একটি সেতু থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মোটো এলাকায় উদ্ধার হওয়া এক মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। মৃত ব্যক্তি ৬৩ বছর বয়সী ডেভিড নোলস। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। এছাড়া, এক নারী তার গাড়ি বন্যার পানিতে আটকে পড়ার পর নিখোঁজ হয়েছেন এবং আরেক ব্যক্তি একটি প্লাবিত সড়কের পাশে হাঁটতে গিয়ে আর ফেরেননি—তাদের সন্ধানে অভিযান চলছে।
NSW-এর প্রিমিয়ার ক্রিস মিনস বলেন, “আমরা এখনো বিপদমুক্ত নই। আবহাওয়া অফিস আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। সবাইকে জরুরি নির্দেশনা ও সম্প্রচারের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে।”
এদিকে, বন্যার কারণে রাজ্যের ১০০-র বেশি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং হাজার হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সরকার বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে, যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সুরক্ষিত অবস্থানে রয়েছেন।
উদ্ধার তৎপরতা বৃদ্ধি ও সতর্কতা জারি করা হয়েছে ।রাজ্য জরুরি পরিষেবা বিভাগের (SES) কমিশনার জানান, এই পরিমাণ বৃষ্টি বহু এলাকার মানুষের জীবনে প্রথমবারের মতো দেখা গেল। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র: : ইন্টারনেট , NSW SES, স্থানীয় প্রশাসন
Leave a Reply