মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে প্রথম নারী নাকি দ্বিতীয়বার ট্রাম্প

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৭৮ Time View

পরবর্তী হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা। আমেরিকার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ভার্মন্টে স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় (গ্রেনিচ মান সময় ১২টায়) ভোট গ্রহণ শুরু হয়, চলবে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় ১৮ কোটি ৬০ লাখ ভোটার ভোট দিতে পারবেন। তবে বেশির ভাগ রাজ্যে ডাকযোগে এবং আগাম ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় ইতোমধ্যেই ৮ কোটির বেশি মানুষ ভোট দিয়ে ফেলেছেন।

ভোটের মহারণ শুরু হলেও সবার অপেক্ষা কার হাতে উঠছে হোয়াইট হাউসের চাবি। বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র কি তার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পাচ্ছে, নাকি দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ইতিহাস তৈরির হাতছানি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সামনে। অপরদিকে গত নির্বাচনে পরাজয়ের গ্লানি মুছে প্রত্যাবর্তনের প্রত্যয় রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে জরিপগুলোতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে।

বরাবরের মতোই ফলাফলের জন্য সবার দৃষ্টি ৭টি সুইং স্টেটে। শেষ মুহূর্তের জরিপে ৪টি সুইং স্টেটেই এগিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প, আর একটিতে দু’জন সমানে-সমান। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, শেষ মুহূর্তে ভোটারের মন আর ভোট দু’টোই পাল্টে যেতে পারে।

হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ে কে জয়ী হবেন, কে হাসবেন শেষ হাসি-কমলা হ্যারিস নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ প্রশ্নের জবাব পেতে এখন শেষ মুহূর্তের অপেক্ষা। অনেক ভোটার শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেবেন। নীরব ভোটার আছেন অনেক। তাই ফলাফল প্রকাশের আগে কে জয়ী হবেন, তা অনুমান করা যাচ্ছে না।

প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের লড়াইয়ের পাশাপাশি আমেরিকায় সমান্তরালভাবে আরও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে এই পর্বে। তা হল আমেরিকান কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ও উচ্চকক্ষ সিনেটের ভোট।

আমেরিকার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ ১০০ সদস্যের সিনেটের ৩৪টি এবং নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের ৪৩৫ আসনের সবক’টির নির্বাচন হচ্ছে এই দফায়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে প্রার্থীই জিতুক না কেন, নতুন কোনও আইন পাশ করাতে গেলে এই দু’টি কক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে এ ক্ষেত্রে সিনেটের গুরুত্ব খানিকটা হলেও বেশি। বিভিন্ন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট-সহ গুরুত্বপূর্ণ পদে জয়ী প্রার্থীদের নিয়োগপত্র সুপ্রিম কোর্ট পেশ করে সিনেটই। তাই হাউস ও সিনেটের ভোট সাধারণ নির্বাচনের থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।

সিনেটের ভোট প্রক্রিয়া হাউসের থেকে কিছুটা আলাদা। এখানে এক বার ভোটে জিতলে ছ’বছরের মেয়াদ থাকে। সিনেটের মোট আসনসংখ্যা ১০০টি। আমেরিকার প্রতিটি প্রদেশে দু’জন করে সিনেটর নিযুক্ত থাকেন। সেই হিসেবে মোট ৫০টি প্রদেশে ১০০টি আসনের সবগুলোতে অবশ্য একসঙ্গে ভোট হয় না। প্রতি দু’বছর অন্তর এক তৃতীয়াংশ আসনে ভোট হয়। এ বার ভোট হবে ৩৪টি আসনে। সাধারণত নির্বাচনের রাতেই হাউসের ভোটের ফল ঘোষণা হয়ে যায়। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, হাউসে ডেমোক্র্যাটদের এগিয়ে থাকার সম্ভাবনাই বেশি। সিনেটে রিপাবলিকানদের।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category