নতুন ব্যবস্থা চালু না হওয়া পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখার বিষয়ে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে পেনশন স্কিমের বর্তমান অবস্থা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে অর্থ সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, উপদেষ্টার অনুমোদনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সার্বজনীন পেনশন স্কিমটি আপাতত চলতে থাকবে।
গত বছর চালু হওয়া এই স্কিমটির লক্ষ্য সমগ্র জনসংখ্যার জন্য একটি টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামো প্রদান করা।
বিজ্ঞাপন
সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা গণমাধ্যমকে বলেন, সর্বজনীন পেনশন বিষয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা সামনের দিকে কি করব, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমাদের যে চারটি স্কিম রয়েছে, সেই চার স্কিম সম্পর্কে এবং সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টাকে জানিয়েছি এবং এখন পর্যন্ত আমরা কি করেছি সেগুলো সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টাকে অবহিত করেছি। তার আলোকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, একটি নতুন স্কিম ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। পেনশন স্কিম থেকে করা বিনিয়োগের বিষয়ে মোস্তফা জানান, মোট ১১৬ কোটি টাকা সম্পূর্ণরূপে সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একটি বড় সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা হয়েছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট এ স্কিমটি উদ্বোধন করেন এবং এর পরেই এতে নিবন্ধন শুরু হয়।
প্রাথমিকভাবে, শেখ হাসিনার সরকার চারটি প্রকল্প চালু করেছিল। সেগুলো হলো, প্রবাস (প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য), প্রগতি, সুরখা এবং সমতা।স্বায়ত্তশাসিত এবং আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মচারীদের জন্য প্রত্যয় নামে একটি স্কিম চালুর পরে শিক্ষকদের প্রতিবাদের মুখে তা বাতিল করা হয়।
এখন পর্যন্ত, ৩ লাখ ৭২ হাজার ৯৪ জন সর্বজনীন পেনশন স্কিমের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এখন পর্যন্ত তহবিলে ১২৩ কোটি টাকা জমা হয়েছে। এর মধ্যে ১১৬ কোটি টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে। নিবন্ধনকৃতদের প্রায় ৭৭ শতাংশ নিম্নআয়ের মানুষ।
Leave a Reply