রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি ইমপেরিয়াল কলেজের ছাত্র বলে জানা গেছে। তবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। মেরুল বাড্ডায় এখনও থেমে থেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে বলে জানা গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেশজুড়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে বেলা সোয়া ১১টার থেকে মেরুল বাড্ডা সড়কে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। পরে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে আন্দোলনকারীদের।
শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ক্যাম্পাসের ভেতরেও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এতে প্রায় ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, যাদেরকে ঢাকা মেডিকেলসহ অন্য বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সামিহা বলেন, ‘এতো কাছ থেকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করবে, এটা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। আমাদের অনেক সহপাঠী আঘাত পেয়েছে। পুলিশ যতই টিয়ারশেল নিক্ষেপ করুক, আমরা আন্দোলন থেকে পিছু হটবো না।’
অভিযোগ উঠেছে, আহত ব্র্যাক শিক্ষার্থীদের আনা-নেয়ার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স চালককেও গুলি করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে কোন অ্যাম্বুলেন্সকেও ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না পুলিশ।
Leave a Reply