যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর ও বিস্তৃত করার লক্ষে দেশটির সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।
বুধবার (১৫ মে) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে ডোনাল্ড লুর এই সফর। তাই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক ঠিক রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সহযোগিতা চেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ ৪০টি আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগের জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। যা শ্রম আইন সংশোধনের পর হবে। এ বিষয়ে আমাদের ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশনের মাধ্যমে অর্থায়ন করতে চায়। যাতে করে, রিজার্ভ শক্তিশালী হয়।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে একমত হয়েছে। স্থায়ী যুদ্ধবিরতি তারাও চায়।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন ও মানবাধিকার নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়েও কোন আলাপ হয়নি বৈঠকে। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রক্রিয়া যেমন সময় সাপেক্ষ ছিলো, উঠবেও সেভাবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশি ছাত্ররা যাতে যুক্তরাষ্ট্রের পড়াশোনার জন্য ব্যাপকভাবে সুযোগ পায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি (ডোনাল্ড লু) এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম স্টাবলিশ করা যায় কিনা৷
Leave a Reply