চলতি শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে উপবৃত্তি পাচ্ছেন চার লাখ ৮১ হাজার ৪৭ শিক্ষার্থী। এবার আবেদন করা শিক্ষার্থীর ৮২.৩২ শতাংশই উপবৃত্তি পাচ্ছেন। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও অন্যান্য কোটায় উপবৃত্তি পাচ্ছেন আরও ছয় হাজার ৯৩৬ শিক্ষার্থী। একাদশ শ্রেণির মোট ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ সাত হাজার ১৬ জন। তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার ৩০৮ জন উপবৃত্তির জন্য আবেদন করেন।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট্রের আওতায় বাস্তবায়নাধীন সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভায় এ-সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকার উপাত্ত বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সারা দেশের উপবৃত্তি উপকারভোগী শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট অফিসের এমআইএস সেলের প্রযুক্তিগত সহায়তায় এইচএসপি ইউনিটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। লৈঙ্গিক ভিত্তিতে নয় বরং দারিদ্র্যের ভিত্তিতে উপকারভোগী শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়েছে।
যারা উপবৃত্তি পাবেন
শারীরিক প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গ, সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের পর সরাসরি এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে এক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দেওয়া সনদ বা প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত কপি এমআইএসে সংযুক্ত এবং সংরক্ষণ করতে হবে। সব শিক্ষার্থীর ১৭ সংখ্যার অনলাইন জন্মসনদ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে ভর্তি সহায়তা করার ঘোষণা দেয় সরকার। এতে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৩তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের সন্তানরা আর্থিক অনুদান পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে বলে জানানো হয়।
Leave a Reply