যুক্তরাজ্যের রাজবধূ প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটন ক্যান্সারে আক্রান্ত।
২২ মার্চ শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় কেট বলেছেন, গত জানুয়ারি মাসে তলপেটে বড় ধরনের অস্ত্রোপচার হয় । ওই সময় ডাক্তাররা তার ক্যান্সারের বিষয়ে কোনো কিছু না পেলেও , অস্ত্রোপচার পরবর্তী পরীক্ষায় তাঁর ক্যান্সার ধরা পরে। বর্তমানে তাঁকে প্রাথমিক পর্যায়ের প্রতিরোধমূলক কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে।
৪২ বছর বয়সী কেটের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা পুরো বিশ্ববাসীর জন্যই বড় ধরনের দুঃখজনক সংবাদ। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন,”আমাদের পুরো পরিবারের জন্য এটি একটি অবিশ্বাস্যভাবে কঠিন কয়েকটি মাস ছিল, তবে আমার একটি দুর্দান্ত মেডিকেল টিম ছিল যারা আমার খুব যত্ন নিয়েছে, যার জন্য আমি ভীষনভাবে কৃতজ্ঞ।”
গত জানুয়ারি মাসে দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কেট। সে সময় ব্রিটিশ রাজপরিবারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, তাঁর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তবে সে সময় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
গেল বুধবার ধারণ করা ভিডিও বার্তায় কেট বলেছেন, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তাঁর ক্যান্সার ধরা পড়েছে। তিনি আরও বলেন, তিনি ভালো আছেন।
ওই ভিডিওতে কেটকে নীল রঙের জিনস ও সাদা কালো স্ট্রাইপের জাম্পার পরা অবস্থায় দেখা গেছে। এসময় তাঁকে দুর্বল ও ক্লান্ত দেখাচ্ছিল। কেট বলেন, এই অসুস্থতার খবর তাঁদের পরিবারের জন্য বড় ধাক্কা। তবে তিনি ও উইলিয়াম সবকিছু সামলে ওঠার চেষ্টা করছেন।
তিনি ভিডিও বার্তায় আরো বলেন,”আমরা আশা করি আপনারা বুঝতে পারবেন যে, আমার চিকিৎসা শেষ করার সময় আমাদের কিছু সময়, স্থান এবং গোপনীয়তার প্রয়োজন। আমার কাজ আমাকে সবসময় আনন্দের গভীর অনুভূতি দিয়ে এসেছে এবং আমি যখন সক্ষম হব তখন আমি ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি, কিন্তু আপাতত আমাকে সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে এবং এই সময়ে, আমি সকলের ক্যান্সারে আক্রান্তদের কথা ভাবছি।এই রোগের মুখোমুখি যারা হয়েছেন প্রত্যেকের জন্য, যাই হোক না কেন, দয়া করে বিশ্বাস বা আশা হারাবেন না। কারন আপনি একা নন।
কেটের অস্ত্রোপচারের পর রাজপ্রাসাদ থেকে বলা হয়েছিল, প্রিন্সেস এ মাসের শেষে ইস্টার পর্যন্ত তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্বে ফিরতে পারবেন না। তবে জনসমক্ষে কেটের অনুপস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক গুঞ্জন ও বিতর্ক শুরু হয়।
গত জানুয়ারি মাসে কেট ও রাজা চার্লস একই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ৭৫ বছর বয়সী রাজা চার্লস প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত।
প্রিন্স হ্যারি তাঁর স্ত্রী মেগান কেট ও তাঁর পরিবারের সুস্থতা কামনা করে বার্তা পাঠিয়েছেন।
কেট কী ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত, সে ব্যাপারে কেনসিংটন প্যালেস জানায়নি। প্যালেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চিকিৎসাসংক্রান্ত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার প্রিন্সেসের রয়েছে। কেট সুস্থতার পথে এবং গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁর প্রতিরোধমূলক কেমোথেরাপি শুরু হয়েছে বলে প্যালেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
Leave a Reply