বেশ অল্প বয়সেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গ। আজ (শুক্রবার) সিঙ্গাপুরে এক অদ্ভুত স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন এই গায়ক। ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমায় ইমরান হাশমি ও তনুশ্রী দত্ত অভিনীত ‘ইয়া আলি’ গানটি গেয়ে সে সময় ভারতসহ বাংলাদেশেও তুমুল সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন জুবিন।
নর্থ ইস্ট নিউজ জানিয়েছে যে, গায়ক সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং কার্যকলাপে অংশ নেওয়ার সময় সমুদ্রে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়, যেখানে পরে তিনি মারা যান। আজ পরে সিঙ্গাপুরে নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে এই গায়কের পারফর্ম করার কথা ছিল।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫২ বছর। আজ বিকেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসামের ক্যাবিনেট মন্ত্রী অশোক সিংঘল গায়কের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। তিনি টুইটারে এক শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘আমাদের প্রিয় জুবিন গর্গের অকাল মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। আসাম কেবল একটি কণ্ঠস্বরই নয়, একটি হৃদস্পন্দনও হারিয়েছে। জুবিন একজন গায়কের চেয়েও বেশি কিছু ছিলেন, তিনি আসাম এবং জাতির গর্ব ছিলেন, যার গান আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের আবেগ এবং আমাদের চেতনাকে বিশ্বের প্রতিটি কোণে পৌঁছে দিয়েছে।’
তার টুইটে আরও লেখা হয়েছে, ‘তার সঙ্গীতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম আনন্দ, সান্ত্বনা এবং পরিচয় খুঁজে পেয়েছিল। তার চলে যাওয়া এমন এক শূন্যতা তৈরি করেছে যা কখনও পূরণ হবে না। আসাম তার প্রিয়তম পুত্রকে হারিয়েছে এবং ভারত তার অন্যতম সেরা সাংস্কৃতিক আইকনকে হারিয়েছে। তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং অগণিত ভক্তদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। তার আত্মা চিরকাল শান্তি পাক এবং তার উত্তরাধিকার চিরকাল অনুপ্রাণিত হোক। ওম শান্তি।’
১৯৭২ সালে আসামের মেঘালয়ে জন্মগ্রহণকারী জুবিন গর্গের আসল নাম ছিল জুবিন বোরঠাকুর। নব্বইয়ের দশকে তিনি নিজের নামের শেষে গর্গ পদবি যুক্ত করেন, সেই নামেই সবাই তাকে চেনে। ২০০৬ সালে তিনি ‘গ্যাংস্টার’ চলচ্চিত্রের ‘ইয়া আলি’ গানটি গেয়েছিলেন। এই চার্টবাস্টারের সাফল্য তাকে দেশব্যাপী পরিচিতি এনে দেয়, যার ফলে বছরের পর বছর ধরে বেশ কয়েকটি বলিউড হিট গান তৈরি হয়, যার মধ্যে রয়েছে ‘সুবাহ সুবাহ’ এবং ‘কেয়া রাজ হ্যায়’।
জুবিন মূলত অসমীয়া, বাংলা এবং হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে গাইলেও ৪০টিরও বেশি ভাষা এবং উপভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। বহু বছর ধরে তিনি আসামের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত গায়ক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।