শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২০ অপরাহ্ন

জাকসু বানচালের আশঙ্কায় জড়ো হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১০ Time View

জাকসু নির্বাচন বানচালের আশঙ্কায় জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশনে জড়ো হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

ভোট গ্রহণের ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখন শেষ হয়নি ভোট গণনা। ছাত্রদলের ভোট বর্জন ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের নানা অভিযোগের জন্য জাকসু বানচাল করার পায়তারা চলছে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ কথা বলে নির্বাচনন কমিশনে আসা শিক্ষার্থীরা।

জাকসুর সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন পদপ্রার্থী আহসান লাবিব বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে যারা জাকসু নির্বাচন বয়কট করেছে তাদেরও আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বয়কট করেছি। তারা জাকসু বিরোধী শক্তি, তারা কখনো জাকসু চায়নি।

পরবর্তীতে বিএনপি ও বামপন্থী কিছু শিক্ষক নানা অভিযোগ এনে ভোট গণনাকে দীর্ঘায়িত করছে। তারা ফলাফল নিয়ে ম্যাকানিজম করার ষড়যন্ত্র করছে। তবে এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সজাগ রয়েছে বলে জানান তিনি।

সার্বিক পরিস্থিতি দেখে জাকসু নির্বাচনের ফলাফল বানচাল করার চেষ্টা করছে বলে আমরা মনে করছি। আজ রাত ৮টার মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।

মীর মোশাররফ হোসেন হল সংসদের ভিপি পদপ্রার্থী জুবায়ের শাবাব বলেন, তাড়াতাড়ি ফলাফল প্রকাশের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কেউ ওএমআর মেশিন নিয়ে অভিযোগ তুললেই ওএমআর দিয়ে ভোট গণনা বন্ধ করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যারা ওএমআর নিয়ে যে অভিযোগ তুলেছে তা ইতোমধ্যে ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এরপর তারা নির্বাচন বর্জন করে চলে গেছে। তাদের অভিযোগ তো আমলে নেওয়ার আর কোনো প্রশ্নই থাকে না। মেশিন ব্যবহার করে দ্রুত ভোট গণনা করে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।

জাবি শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুলতানা আক্তার জানান, জাকসুতে একজন ভোটারের তিনটি করে ব্যালট গুনতে হচ্ছে। ৮ হাজার ভোটারের ২৪ হাজার ব্যালট গুনতে হবে। আমরা এই চাপ নিতে পারছি না। এভাবে চললে তিনদিনেও ভোট গণনা শেষ হবে না।

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বহিরাগত কেউ যেন প্রবেশ করতে না পারে সেদিকটি দেখতেছি। তবে ভোট-ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিষয়। তাদের সুবিধাজনক সময়ে তারা ফলাফল ঘোষণা করবেন।

উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ৮ হাজার ১৬টি ভোট পড়েছে। এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৯১৯ জন। অর্থাৎ মোট ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সকল কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশন। ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৯১৯। ছাত্রদের হলের মধ্যে আল বেরুনী হলে ভোটার ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।

ছাত্রীদের হলের মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category