 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    ঢালিউডে প্রথম সিনেমা দিয়েই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছিলেন প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ। ক্যারিয়ারে মাত্র ছয় বছরেই বাজিমাত করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ক্ষণজন্মা এই নায়কের শুভ জন্মদিন। বেঁচে থাকলে আজ ৫৩ বছরে পা রাখতেন সালমান শাহ। ১৯৭১ সালে আজকের এই দিনে পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন তিনি।
১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে সিনেমায় অভিষেক হয় সালমানের। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন মৌসুমী।
ক্যারিয়ারে মোট ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন সালমান শাহ। আর সবগুলো সিনেমাই ছিল ব্যবসাসফল। পাশাপাশি সালমান শাহ-শাবনূরের জুটিও দর্শকদের ভীষণ প্রিয় ছিল।
১৯৭১ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট শহরে দাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ। তার বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী এবং মা নীলা চৌধুরী। তার প্রকৃত নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। কিন্তু চলচ্চিত্র অঙ্গনে সালমান শাহ নামেই পরিচিত তিনি। পরিবারে দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনিই ছিলেন বড় ছেলে।
খুলনার বয়রা মডেল হাইস্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু সালমান শাহর। একই স্কুলে তার সহপাঠী ছিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। ১৯৮৭ সালে রাজধানীর ধানমন্ডি আরব মিশন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন জনপ্রিয় এই নায়ক। পরে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ধানমন্ডির মালেকা সায়েন্স কলেজ (বর্তমান ডক্টর মালিকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ) থেকে বি কম পাস করেন সালমান শাহ।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর হঠাৎ সবাইকে কাঁদিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে। আত্মহত্যা করেন সবার স্বপ্নের নায়ক সালমান শাহ। প্রিয় তারকার মৃত্যুর খবরে মুহূর্তেই অন্ধকার নেমে আসে দেশজুড়ে। থমকে যায় সব কলরব। কেউ মেনেই নিতে পারছিলেন না যে, সালমান শাহ আর আমাদের মাঝে নেই। সালমান শাহর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে ঢাকাই চলচ্চিত্রেও। কেন এমন পথ বেছে নিলেন তিনি? এই প্রশ্ন আজও তাড়া করে বেড়ায় তার ভক্ত-অনুরাগীদের।
সালমান শাহর মৃত্যুর কারণটি আজও রহস্যই রয়ে গেছে।
সালমান শাহ ১৯৮৫ সালে বিটিভির ‘আকাশ ছোঁয়া’ নাটক দিয়ে অভিনয়ের যাত্রা শুরু করেন। পরে দেয়াল (১৯৮৫), সব পাখি ঘরে ফিরে (১৯৮৫), সৈকতে সারস (১৯৮৮), নয়ন (১৯৯৫), স্বপ্নের পৃথিবী (১৯৯৬) নাটকে অভিনয় করেন।
নয়ন নাটকটি সে বছর শ্রেষ্ঠ একক নাটক হিসেবে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ১৯৯০ সালে মঈনুল আহসান সাবের রচিত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত পাথর সময় ও ১৯৯৪ সালে ইতিকথা ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন।
সালমানশাহর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো ‘সুজন সখি’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘বিচার হবে’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘জীবন সংসার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘প্রেম পিয়াসী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বুকের ভেতর আগুন’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘স্নেহ’, ‘দেন মোহর’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘সত্যের মৃত্যু নাই’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘প্রিয়জন’সহ প্রভৃতি।
 
													