টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করা বাংলাদেশের ব্যাটিং ওয়ানডেতে যেন হারিয়ে গেছে। ফরম্যাট বদলতেই বদলে গেছে টাইগারদের পারফরম্যান্স। প্রথম ওয়ানডেতে বাজে ব্যাটিংয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থতার পরিচয় দিলো বাংলাদেশ, আর আফগানিস্তান উদযাপন করল সিরিজ জয়।
সিরিজে সমতা ফেরানোর সুযোগ নিয়ে ১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে ব্যাটাররা যেন টেস্ট মেজাজে খেলতে পারলেন না। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২৮.৩ ওভারে শেষ হয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস, ১০৯ রানে অলআউট। আফগানিস্তান ৮১ রানে জয় তুলে নিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন ম্যাচের সিরিজ নিশ্চিত করল।
ব্যাটিং শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। কোনো রান না করেই ফিরেছেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সাইফ হাসান, তবে নাজমুল মাত্র ৭ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন। সাইফও দলের ৪০ রানে বিদায় নেন, ২২ রান সংগ্রহ করে। এরপর তাওহীদ হ্রদয় ২৪ রানে ফিরে যান। ৫০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের ইনিংস পুরোপুরি বিপর্যয়ে পড়ে। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং রিশাদ হোসেনর স্পিনে ধসে পড়ে দল। শেষ পর্যন্ত জাকের আলি, নুরুল হাসান, রিশাদ হোসেনদের ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশ থেমে যায় ১০৯ রানে।
এর আগে দিন শুরুতে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছিল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানকে ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ রান করতে বাধ্য করে। নতুন বলে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তানজিম হাসান সাকিব, মাঝের ওভারগুলোতে মেহেদী মিরাজ ও রিশাদ হোসেনর ঘূর্ণি আফগানদের লক্ষ্য আংশিকভাবে আটকে রাখে। তবে ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ৯৫ রান করলেও নিয়মিত উইকেট হারার কারণে আফগানিস্তান শেষ পর্যন্ত ১৯০ রানে অলআউট হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ৩ উইকেট। আফগান বোলার রশিদ খান এই ম্যাচে ৫ উইকেট তুলে নেন এবং দলের জয় নিশ্চিত করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ১৯০ (৪৪.৫ ওভার, জাদরান ৯৫, নবী ২২, গজনফর ২২; রশিদ খান ৫/৩৪, আজমতউল্লাহ ৩/৩৫)
বাংলাদেশ: ১০৯ (২৮.৩ ওভার, মিরাজ ৪৭, সাইফ ২২, তাওহীদ ২৪; রশিদ খান ৫/৩৪, মিরাজ ৩/৪২)
৮১ রানের এই ব্যবধানের হারে বাংলাদেশ সিরিজে ২–০ পেছনে পড়ে গেল। তৃতীয় ওয়ানডেতে টাইগারদের জন্য এখন শুধুই মহাপরিশ্রম ও ধারাবাহিক ব্যাটিং ছাড়া কিছুই বাকি নেই।