জন্মের পর বাবার ঘর,বিয়ের পর স্বামীর ঘর আর বৃদ্ধকালে ছেলের ঘর। নারীর জীবন বাঁধা পরে আছে এই ছকে। তাদের নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। মেয়েরা বেশি পড়াশুনা করলে দোষ,চাকরি করলে দোষ,ঘরে থাকলেও দোষ।কারণ ঘরে তো কাজই নেই শুয়ে বসে থাকা ছাড়া। তাদের চলাফেরায় দোষ,পোশাক নির্বাচনে দোষ। বিয়ের পর বাচ্চা হলেও বাচ্চার সকল সমস্যার কারণ তার মা। আবার বাচ্চা না হলেও দোষ। এই যে নারী জাতির এতো দোষের ফিরিস্তি সাজিয়ে রেখেছে আমাদের সমাজ একবার ভাবুন তো এই দোষে ভরা নারী যদি না থাকতো তাহলে কি সমাজ নামক কিছু থাকতো?? তাদের দোষ নেই একটা জায়গায়। যদি তারা পুরুষের কথা মতো চলে। যদি জগতের কল্যাণে অর্ধেক ভূমিকা নারীর হয়ে থাকে তাহলে কোথায় পুরুষের দোষের তালিকা? এই তালিকার কথা বলাটাও নারীর দোষ হয়ে দাঁড়াবে। নারীর সমঅধিকার,নারীদের জন্য নিরাপদ সমাজ এইসব নিয়ে যুগের পর যুগ লেখালেখি,আন্দোলন এইসব চলতেই থাকবে। আদতে নারীর জন্য সেই যে একটা ছক তৈরি করা হয়েছে সেখানেই আটকে থাকবে। এই সব কিছুরই পরিবর্তন হতো যদি নারীকে তার অবয়ব দিয়ে বিচার না করে তার কর্ম,তার মানবিক গুণাবলী,তার ক্ষমতা এইসব দিয়ে বিচার করা হতো।
নারী দিবসের শুভেচ্ছা সকল নারীকে
Leave a Reply