স্বায়ত্তশাসন বাতিলের (২০১৯ সাল) চার বছর পর কাশ্মীরে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে বিশাল জনসভার সামনে ভাষণও দিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার নির্বাচনে প্রচারের অংশ হিসাবেই সেখানে পৌঁছেছেন। রাজ্যটির শ্রীনগরের জ্যাম-প্যাক বক্সি স্টেডিয়ামের জনসভায় উপস্থিত হন মোদি। সেসময় কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় পুরো এলাকা। জনগণের পাশাপাশি সমাবেশে হাজার হাজার পুলিশসহ আধাসামরিক কর্মকর্তারা জড়ো হয়েছিল। বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের ঘটনায় ২০১৯ সালের পর এবারই প্রথম সেখানে গেলেন তিনি। দ্য হিন্দু।
কাশ্মীরে ভাষণ দেওয়ার সময় মোদি অঞ্চলটির শান্তি ও উন্নয়নের ঘোষণা করেন। বলেন, ‘ভূস্বর্গে আসতে পারার এই অনুভূতি তুলে ধরার শব্দ আমার কাছে নেই। আমাকে বলা হয়েছে যে, ২৮৫টি ব্লকের এক লাখ লোক আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আমি জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটি নতুন জম্মু ও কাশ্মীর যার জন্য আমরা কয়েক দশক ধরে অপেক্ষা করছিলাম।’ এরপর তিনি আরও বলেন, দমন-পীড়নের অভিযোগ সত্ত্বেও রাজ্যটি অবশেষে ‘স্বাধীনভাবে শ্বাস নিচ্ছে’। বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের বিষয়টি সামনে এনে তিনি আরও বলেন, ‘৩৭০ ধারা বাতিলের পর কাশ্মীর উন্নতি ও সমৃদ্ধির নতুন উচ্চতায় স্পর্শ করছে। স্থানীয়রা মুক্ত নিঃশ্বাস নিতে সক্ষম। কয়েক দশক ধরে, কংগ্রেস এবং তার সহযোগীরা ৩৭০ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে।’
এরপর প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীরকে নিজের ‘পরিবার’ বলে মনে করেন বলে মন্তব্য করেন। কাশ্মীরের জনগণের উদ্দেশে মোদি আরও বলেন, আজ আমি পর্যটন সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করার সুযোগ পেয়েছি। উন্নয়নের শক্তি, পর্যটন সম্ভাবনা, কৃষকদের ক্ষমতায়ন ও জম্মু এবং কাশ্মীরের তরুণদের নেতৃত্বই আমাদের লক্ষ্য।
উন্নত জম্মু ও কাশ্মীর গড়ার পথ এখান থেকেই বেরিয়ে আসবে। জম্মু ও কাশ্মীর শুধু একটি অঞ্চল নয়, এটি ভারতের মাথা। বিকশিত ভারত প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বিকশিত জম্মু ও কাশ্মীরকে। স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের অধীনে ছয়টি প্রকল্প দেশকে উৎসর্গ করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মোদি। এছাড়াও স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের পরবর্তী ধাপও চালু করা হয়েছে বলে জানান। এর অধীনে জম্মু ও কাশ্মীর ও দেশের অন্যান্য জায়গার জন্য প্রায় ৩০টি প্রকল্প শুরু হয়েছে।
Leave a Reply