সিডনির ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলে উদযাপিত হলো বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস। গত ২৩ মার্চ (রবিবার) বাংলা স্কুলের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের ছবি এঁকে, কবিতা আবৃত্তি করে, নাচ ও গান পরিবেশন করে, এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিচারণ শুনে দেশের স্বাধীনতার ৫৪তম বর্ষ স্মরণ করে।
সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে স্কুলের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক এবং কার্যকরী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলা স্কুলের সাধারণ সম্পাদক রাফায়েল রোজারিও অনুষ্ঠানের সূচনা করেন, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান এবং অস্ট্রেলিয়ার ভূমিসন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে তাদের স্বাধীনতার চেতনা প্রকাশ করে। এরপর দেশাত্মবোধক সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক আয়োজন। আয়ানা, জোহা, লিয়ানা, আমিরা, অর্কসহ আরও অনেক শিক্ষার্থী নাচ, কবিতা ও গান পরিবেশন করে। এই অংশটি পরিচালনা করেন শ্রেণিশিক্ষক শায়লা ইয়াসমিন নুসরাত, অনিতা মন্ডল, বিশাখা পাল, নুশরাত মৌরী, সায়মা হক ও অনিতা বিশ্বাস মীরা।
দ্বিতীয় পর্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী সাদাত হোসেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি শেয়ার করেন। তাঁর কথায় মুক্তির সংগ্রামের বীরত্বগাথা উঠে আসে, যা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে। এই পর্বটি পরিচালনা করেন কাজী আশফাক রহমান।
তৃতীয় ও শেষ পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন স্কুলের সংগীত শিক্ষক স্বপ্না চক্রবর্তী, নাজমুল আহসান খান, লুৎফা খালেদ ও স্কুল সভাপতি ফায়সাল খালিদ শুভ। কবিতা আবৃত্তি করেন নাট্য নির্দেশক মাজনুন মিজান এবং সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয় “নোঙর তোল তোল”।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন অধ্যক্ষ রুমানা খান মোনা ও স্কুল সভাপতি ফায়সাল খালিদ শুভ। তবলায় সংগত করেন সংগীত শিক্ষক বিজয় সাহা এবং হারমোনিয়ামে ছিলেন স্বপ্না চক্রবর্তী। কারিগরি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন রাফায়েল রোজারিও, আর আপ্যায়ন ও অন্যান্য আয়োজন তত্ত্বাবধান করেন ইয়াকুব, স্বপন ও জিসান।
বাংলা স্কুলের সভাপতি ফায়সাল খালিদ শুভ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল প্রতি রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সকল বাংলা ভাষাভাষীর জন্য উন্মুক্ত থাকে।
Leave a Reply