মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় মগওয়ে প্রদেশের চাউক এলাকায় জান্তার বিমান হামলায় অন্তত ১৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। বিদ্রোহী গোষ্ঠী চাউক রেভল্যুশন আর্মির (সিআরএ) বরাতে এ খবর জানিয়েছে দ্য ইরাবতী।
চলমান সংঘাতের মধ্যে গত রোববার (২৭ অক্টোবর) এই বিমান হামলা চালানো হয়। বুধবার (৩০ অক্টোবর) এ খবর সামনে এসেছে।
প্রতিবেদন মতে, গত ২৫ অক্টোবর ৫০০ জনেরও বেশি জান্তার তিনটি সেনাদল চাউক টাউনশিপের দিকে অগ্রসর হয়। সশস্ত্র গোষ্ঠী সিআরএ বলেছে, এ সময় হেইন সান গ্রামের কাছে সিআরএর সাথে সেনাদলের সংঘর্ষ শুরু হয়।
জান্তা বাহিনীর হামলায় প্রতিরোধ বাহিনী সিআরএ পিছু হটে। এরপর জান্তা সেনারা গোয়েবিন লে ও না ইওয়াল নামে দুটি গ্রাম দখল করে অগ্নিসংযোগ করে। সিআরএ’র তথ্য মতে, না ইওয়াল গ্রামের অন্তত ৩৩টি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) না ইওয়াল গ্রামের কাছে জান্তা সেনাদের ওপর হামলা চালায় প্রতিরোধ গোষ্ঠী। এতে জান্তা সেনারা পিছু হটে এবং ইয়াওয়ার মা নামে একটি গ্রামে অভিযান চালায়। এক সিআরএ সদস্য বলেন, ‘ইওয়ার মা গ্রামের কাছে প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয়। এতে তারা (জান্তা বাহিনী) ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।’
ব্যাপক হতাহতের পর জান্তা বাহিনী ওইদিন ইয়াওয়ার মা গ্রামে বিমান হামলা চালায়। হামলার সময় একটি বোমা গ্রামের একটি মঠে আঘাত হানে। এতে সেখানে আগে থেকে আশ্রয় নেয়া অন্তত ১৪ জন বাস্তুচ্যুত লোক নিহত হন।
আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী র সদস্য কো চিত জানান, ‘দুই জন তাৎক্ষণিকভাবে মারা যায় এবং গুরুতর আহত আরও ১২ জন পরে মৃত্যু হয়। সামরিক বাহিনী এখন অন্য গ্রামে অগ্রসর হচ্ছে।’
সিআরএ, কিউকপাদং ডিফেন্স ফোর্স ও মগওয়ে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সসহ ১১টি প্রতিরোধ বাহিনী চাউকে জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। মগওয়ে পিপলস স্ট্রাইক কমিটি বলেছে, জান্তা অভিযান ও বিমান হামলা এড়াতে চাউকের ২২টি গ্রামের ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
Leave a Reply