বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন

দেশের উন্নতিতে প্রতিষ্ঠানের প্রভাবের গবেষণায় মিলল অর্থনীতির নোবেল

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২১১ Time View

এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিন অর্থনীতিবিদ ড্যারন অ্যাকেমোগলু, সাইমন জনসন এবং জেমস রবিনসন। সোমবার সুইডেনের রয়েল সুইডিশ একাডেমি ২০২৪ সালের নোবেল বিজয়ী হিসেবে এই তিন অর্থনীতিবিদের নাম ঘোষণা করেছে।

আজ সোমবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে চলতি বছর অর্থনীতি বিভাগে নোবেলবিজয়ী হিসেবে এই তিন অর্থনীতিবিদের নাম ঘোষণা করে সুইডিশ রয়েল একাডেমি অব সায়েন্সেস। প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া এবং রাষ্ট্রের উন্নতিতে তার প্রভাব বিষয়ক গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য ওই তিন অর্থনীতিবিদকে এ বছর অর্থনীতির নোবেল দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একাডেমি।
শুরু থেকেই সুইডিশ রয়েল একাডেমি এই পুরস্কার প্রদান করে আসছে। সেই হিসেবে এবার ৬৬তম নোবেল পুরস্কার পেলেন তারা। পুরস্কারের ১০ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রাউন বা ১১ লাখ ডলার ভাগ করে নেবেন তিনজন।

বিজয়ীদের নাম ঘোষণার সময় নোবেল অর্থনীতি বিভাগের পুরস্কার প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাকব স্ভেনসন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের গঠন এবং উন্নয়নে তার প্রভাব’ মূলত যে কোনো দেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি গবেষণা। রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নতিতে প্রতিষ্ঠানের প্রভাব সম্পর্কে ড্যারন অ্যাকেমোগলু, সাইমন জনসন এবং জেমস রবিনসন তাদের যে অন্তঃদৃষ্টির পরিচয় দিয়েছেন তা গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক উন্নয়নের এগিয়ে যাওয়ার জন্য খুবই উপযোগী।

জ্যাকব স্ভেনসন বলেন, “আর্থিক উপার্জনের দিক থেকে বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে বিশাল পার্থক্য, সেটি দূর করা এই মুহূর্তে আমাদের কঠিনতম চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে— পুরস্কার বিজয়ীরা তাদের গবেষণায় সেটিই আমাদের দেখিয়েছেন।”

ড্যারন অ্যাকেমোগলু, সাইমন জনসন, জেমস রবিনসন— তিনজনই যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। ড্যারন এবং সাইমন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) এবং জেমস রবিনসন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
১৯৬৯ সাল থেকে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়।এ পুরস্কারের প্রকৃত নাম সেভারিগস রিক্সব্যাংক প্রাইজ। তবে আলফ্রেড নোবেলের স্মরণে পুরস্কারটি দেওয়া হয় বলে এটি ‘অর্থনীতির নোবেল’ নামে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category