বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন সকল বাংলাদেশীর জন্য একটি গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতকে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন দান অব্যাহত রাখার কথা পুণর্ব্যক্ত করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি পারস্পরিক অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন। তিনি শাসনব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনতে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের কথা উলে¬খ করে, সেই চেতনার আলোকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার সাম্প্রতিক অশান্ত পরিস্থিতির সময় জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি ঢাকাস্থ বিদেশী মিশনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার ভূমিকার কথা স্বীকার করেন। তিনি দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে ২০২৪ সালের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর পেনি ওং-এর বাংলাদেশে গত দ্বিপক্ষীয় সফরের কথা উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসময় রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আয় বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ থেকে বেশি করে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি শিক্ষার্থী ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের পরামর্শ দেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ কোনোভাবেই অবৈধ অভিবাসনকে সমর্থন করে না এবং প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় তাদের অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
উপদেষ্টা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি অস্ট্রেলিয়ার অব্যাহত সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে এ সংকটের কারণে এই অঞ্চলে উদ্ভূত নিরাপত্তা উদ্বেগের ঝুঁকি তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার প্রতি মিয়ানমারের ওপর আরো আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন, যা এই দীর্ঘায়িত সংকটের চূড়ান্ত সমাধান।
Leave a Reply