সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় ভয়াবহ আগুন ১৭ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৮ Time View

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসী এলাকায় অবস্থিত গাজী টায়ার কারখানার আগুন ১৭ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে  আগুনের ঘটনায় স্বজনদের দাবির ভিত্তিতে নিখোঁজের তালিকা করছে ফায়ার সার্ভিস। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় ১৮৭ জনের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন স্বজনরা।

রোববার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাগা আগুনে এখনও দাউ দাউ করে পুড়ছে কারখানাটি।

জানা যায়, ঢাকা ফুলবাড়িয়া ফায়ার স্টেশন, ডেমরা, কাঁচপুর, আদমজী ইপিজেড ও কাঞ্চন ফায়ার স্টেশন থেকে যোগ দেয় ১২টি ইউনিট। এ ছাড়া ভবনটির ভেতরে ৩শ থেকে ৪শ’র মতো লোক আটকা পড়ে আছেন বলে স্থানীয় লোকজন দাবি করেছেন। তারা জানান, রোববার বিকেল ৩টার দিকে প্রায় ১ হাজার থেকে ১২শ’র মতো লোক লুটপাটের জন্য গাজী টায়ারে ঢুকে ভাঙচুর করতে থাকেন। এরপর রাত ১০টার দিকে লুটপাটের সময় আগুনের সূত্রপাত হয়।

গাজী টায়ারের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ জানান, আগুন লাগা ওই ভবনে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল মজুদ ছিল।

আগুনে আটকে পড়া নিখোঁজ লোকদের পরিবার-পরিজনের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে কারখানা এলাকা। এ সময় তাদের দাবির ভিত্তিতে নিখোঁজের তালিকা শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

এদিকে আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তেই থাকে। এতে আশপাশের এলাকায় শিল্প কারখানা ও বাড়িঘরের লোকজনের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও কাজ করছে।

ফুলবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক রেজাউল করিম (প্রশিক্ষণ) বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। অবকাঠামোগত ও ভেতরে থাকা টায়ার উৎপাদনের দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারটি জটিল হয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে কতক্ষণ লাগবে, এটা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছুই ধারণা করা যাচ্ছে না। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category