বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

চীন-ভারতসহ উন্নত দেশ থেকে সমরাস্ত্র কেনা হচ্ছে

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪
  • ১৩৬ Time View

সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নকল্পে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, ভারতসহ সমরাস্ত্র শিল্পে উন্নত দেশগুলো থেকে সমরাস্ত্র ক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান।

সরকার প্রধান বলেন, বাহিনীগুলোর গঠন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। বর্তমানে ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নকল্পে ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, ভারতসহ সমরাস্ত্র শিল্পে উন্নত বিভিন্ন দেশ থেকে সমরাস্ত্র ক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা ভবিষ্যতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের লক্ষ্যে যথাসম্ভব সকল বাস্তবমুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। অদ্যাবধি সেনাবাহিনীর জন্য ক্রয়কৃত বিভিন্ন উন্নত সরঞ্জামাদির মধ্যে কাসা ইউটিলিটি বিমান, ডওফিন ইউরোকপ্টার, ডায়মন্ড প্রশিক্ষণ বিমান, এমবিটি-২০০০ ট্যাংক, ভিটি-ফাইভ লাইট ট্যাংক, আর্মার্ড রিকভারি ভেহিক্যাল, সেলফ প্রপেল্ড (এসপি) কামান, অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন, শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, মাইন রেজিস্ট্যান্ট অ্যাম্বুশ প্রটেক্টেড ভেহিক্যাল, আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল, সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম, আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার, র‍্যাডার কন্ট্রোল এয়ার ডিফেন্স গান সিস্টেম, নাইট ভিশন মনোকুলার, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র, আধুনিক যোগাযোগ সরঞ্জামাদি উল্লেখযোগ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সমুদ্র নিরাপত্তা এবং সম্পদ রক্ষার বিষয়ে সরকারের প্রথম মেয়াদ থেকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের সমুদ্র এলাকায় বহিঃশত্রুর মোকাবিলা ছাড়াও জলদস্যুতা, মাদক/অস্ত্র/মানব চোরাচালান প্রতিরোধ, সামুদ্রিক দূষণরোধ এবং মৎস্য ও খনিজ সম্পদের সুরক্ষা ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে একটি শক্তিশালী নৌশক্তি গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অত্যাধুনিক সাবমেরিন, ক্যাসল ক্লাস জাহাজ, ফ্রিগেড, করভেট, সমুদ্র জরিপ জাহাজ, লার্জ প্যাট্রোল ক্রাফট, মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ার ক্রাফট এবং মেরিটাইম হেলিকপ্টারসহ অত্যাধুনিক নৌযুদ্ধ সরঞ্জাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে।

একইসঙ্গে নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য ডাইভিং বোট, ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি, রিমোট কন্ট্রোল গান, আনম্যানড এয়ারক্রাফট সিস্টেম ইত্যাদিসহ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি, নেটওয়ার্ক হাব স্টেশন, টেকটিকেল ফায়ারিং রেঞ্জ, লং রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স ও সার্ভিলেন্স র‍্যাডার, বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অস্ত্র ক্রয় করা হয়েছে। এছাড়াও, সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আইএফএফ সেন্টার গঠনের প্রক্রিয়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category