গতকাল সোমবার সিডনির কার্নেল বীচে ডুবে ভারতীয় দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। আরেকজনকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এনএসডাব্লিউ পুলিশের মতে বিকাল ৪ঃ৩০ মিনিটে জরুরী পরিসেবা কেন্দ্র থেকে কার্নেল বীচের তাদের ডাকা হয় এবং প্রায় ১৮ মিনিট চেষ্টার পরে এনএসডাব্লিউর পুলিশ একটি নৌকার সাহায্যে তাদের জল থেকে তুলে আনা হয়। পুলিশ কনস্টেবলও প্যারামেডিকসরা তাদের সিপিআর দিয়ে বাঁচানের চেষ্টাও করেছিল।
জানা গেছে যে, ৫ জনের একটি পিকনিক দল ভাটার সময় সমুদ্রের নিকটবর্তী সৈকতের বিপদজ্জনক ভেজা ও পিচ্ছিল পাথরের উপর দিয়ে তারা হাটছিল। অতর্কিতে একটি বিশাল ঢেউ তাদের উপর আছড়ে পরলে সেই ধাক্কায় তিনজন নারী জলে পরে গিয়ে ভেসে যায়। তাদের পুরুষসংগীদের একজন সেই মুহূর্তেই জলে ঝাপিয়ে পরে নারীদের একজনকে আহত ও অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে পুলিশের নৌকা বাকী দুই নারীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। তারা মারওয়া হাশিম ও নিরশা আক্কাল নামে দুই নারী।
আহত নারী মারওয়ার বোন, রোশনা হাশিমকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং হাইপোথার্মিয়া এবং পায়ে আঘাতের জন্য চিকিৎসা দেয়া হয়। সে এখন স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
এনএসডব্লিউ পুলিশের সুপার জো ম্যাকনাল্টি বলেন যে,”দলটি মৎস শিকারী না হলেও তারা সমুদ্রের বিপদজ্জনক সীমানার পিচ্ছিল পাথর গুলোর উপর দিয়ে হাটছিল।তারা এই পথ যে বিপদজ্জনক হতে পারে তা চিন্তা করেনি এবং শীতকাল হওয়াতে তারা বেশ ভারী পোষাক পরে ছিল এইটাও তাদের পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেনি।”
সার্ফ লাইফ সেভিং এনএসডব্লিউ-এর প্রধান নির্বাহী স্টিভেন পিয়ার্স সমুদ্র সৈকত ভ্রমণকারীদের বিপজ্জনক উপকূলরেখার আশেপাশে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য সতর্ক করেছেন।তিনি বলেন, “গত দুই সপ্তাহে আমরা এই স্থানে চারটি ডুবে যাওয়ার ঘটনা দেখেছি, যার সবকটিই এই খোলা পাথরের উপর ক্রিয়াকলাপে অংশ নেওয়া লোকেদের থেকে উদ্ভূত হয়েছে যা গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে,” পিয়ার্স বলেছেন।
“আমরা যথেষ্ট চাপ দিতে পারি না, বিশেষ করে বছরের এই সময়ে আমরা দেখতে পাই যে সাঁতার ছাড়া অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের জন্য উপকূলে আরও বেশি সংখ্যক লোক আসছে, এই বিপদজ্জনক অবস্থানগুলিতে আপনার সতর্কতা অবলম্বন করা এবং আপনার সীমা বোঝা এখনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
এই এলাকাটি রক জেলেদের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান।
Leave a Reply